উপহার: এক প্রবীণার সঙ্গে শশী পাঁজা। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।
দিন কয়েক আগে সল্টলেকে এক প্রবীণ দম্পতিকে পিটিয়ে ঘরবন্দি করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে।
শহরবাসী শিউরে উঠলেও পরিসংখ্যান বলছে, এ ঘটনা নতুন নয়। প্রবীণ নাগরিকদের একটি বড় অংশই নানান নির্যাতনের শিকার হন। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘটনাগুলো প্রকাশ্যে আসে না।
বৃহস্পতিবার সকালে নন্দন প্রেক্ষাগৃহে বিশ্ব প্রবীণ-নিগ্রহ সচেতনতা দিবস পালনের আয়োজন করেছিল নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দফতর। মন্ত্রী শশী পাঁজা সেখানে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তৈরি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল, রাস্তা, শপিং মলে অধিকাংশ প্রবীণই মানসিক নিগ্রহের শিকার হন। খারাপ ব্যবহার, ধৈর্য ধরে কথা না শোনার জেরে তাঁদের মনের জোর কমে যায়। অবসাদে ভোগার প্রবণতা বাড়ে।
অনুষ্ঠানে শশী প্রবীণ নাগরিকদের উন্নত জীবনের জন্য ‘ভরসা’ নামে একটি নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেন। তাতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সমাজকল্যাণ দফতর তরুণ প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দেবে। কী ভাবে বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানো যায়, তাঁদের ন্যূনতম শারীরিক পরীক্ষা কী ভাবে করতে হয়। অচেনা আয়া সেন্টার থেকে কর্মী নিয়োগ না করে সরকারি নথিভুক্ত এই প্রশিক্ষিত ছেলেমেয়েকে বাবা-মায়ের দেখাশোনার কাজে নিযুক্ত করলে সন্তানেরাও অনেকটা নিশ্চিত থাকবেন। এ কথা শুনে খুশি প্রবীণদের জন্য কলকাতা পুলিশের প্রকল্প ‘প্রণাম’-এর সদস্য শীলা সাহা। বছর আশির বিধবা মহিলা একা থাকেন। তাঁর কথায়, ‘‘এমন লোক পেলে তো ভাল। বুড়ো-বুড়িদের কথা শোনার সময় তো কারও নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy