Advertisement
২২ মার্চ ২০২৩
Jagdeep Dhankhar

রাজ্যপালের ভাষণ নেই বিধানসভায়, সরব বিরোধীরা

শোকপ্রস্তাব হয়েই মুলতবি হয়ে গিয়েছে সংক্ষিপ্ত অধিবেশনের প্রথম দিন। তার পরেই বিরোধী দলনেতা মান্নান উঠে অভিযোগ করেন, বিধানসভায় নজির ভাঙা হচ্ছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ০২:২০
Share: Save:

নতুন বছরের প্রথম বিধানসভা অধিবেশন বসল বুধবার। কিন্তু প্রথম অধিবেশনে সাংবিধানিক রীতি মেনে রাজ্যপালের ভাষণের বন্দোবস্ত নেই, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হল বিরোধী বাম ও কংগ্রেস। সভার মধ্যেই বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, আজ, বৃহস্পতিবার তিনি এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে পারেন।

Advertisement

শোকপ্রস্তাব হয়েই মুলতবি হয়ে গিয়েছে সংক্ষিপ্ত অধিবেশনের প্রথম দিন। তার পরেই বিরোধী দলনেতা মান্নান উঠে অভিযোগ করেন, বিধানসভায় নজির ভাঙা হচ্ছে। স্পিকার বলেন, শোকপ্রস্তাবের সময়ে এই আলোচনা করা যায় না। এই বিষয়ে তিনি পরের দিন যা বলার, বলবেন। পরে সভার বাইরে মান্নান বলেন, ‘‘বছরের প্রথম অধিবেশন যখন বসে, সেটা যে মাসেই হোক, তখন রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু করতে হয়। তাঁর ভাষণের উপরে বিতর্ক হয়। সাংবিধানিক রীতি এবং বিধানসভার কার্যবিধিতে তা-ই বলা আছে। কিন্তু এখানে সরকার পক্ষ বিধানসভার অধিবেশন সমাপ্ত (পরিভাষায় ‘প্রোরগ’) না করে অনির্দিষ্ট কাল মুলতবি করে রাখছে। যাতে রাজ্যপালের ভাষণ আটকে দেওয়া যায়।’’ বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘‘রাজ্যপাল আমাদের দলের লোক নন। কিন্তু প্রথা ভেঙে রাজ্যপালকে শুধু অসম্মান করা হচ্ছে, তা-ই নয়, বিরোধীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।’’

বিরোধীদের যুক্তি, বিধানসভায় রাজ্যপালকে সরকারের তৈরি করে দেওয়া ভাষণই পড়তে হয়। রাজ্যপালের মাধ্যমে সরকার যা তথ্য দেয়, তার উপরে বিতর্কে যোগ দেয় বিরোধীরা। অধিবেশন সমাপ্ত হলে ফের তা ডাকতে হয় রাজ্যপালের সম্মতি নিয়ে। কিন্তু অনির্দিষ্ট কাল মুলতবি রাখলে স্পিকারই অধিবেশন ডাকতে পারেন, রাজ্যপালের ভূমিকা থাকে না। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যপালের ভাষণের পথ বন্ধ করে বিরোধীদের বিতর্কের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন্দ্রে যারা সরকার চালাচ্ছে, তারা সংবিধান, রীতি-নীতি মানে না, জানা কথা। কিন্তু এখানেও সরকার কেন একই পথে যাবে? বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যেরও বক্তব্য, ‘‘রাজ্যপালের পদমর্যাদা ও বিধানসভার অবমাননা করা হয়েছে। সাংবিধানিক রীতি মানা হয়নি। ক্ষমতা থেকে যাওয়ার আগেও তৃণমূল বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়।’’ পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় অবশ্য জানিয়েছেন, স্পিকার যে হেতু ব্যাখ্যা দেবেন বলেছেন, তাই এই বিষয়ে আর কারও মন্তব্য কাঙ্খিত নয়।

দু’দিনের অধিবেশনের শেষ দিনে আজ কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। সেই আলোচনায় অংশগ্রহণ করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.