এক ভুটভুটি চালককে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ ওই ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে চাকুলিয়া থানার বলঞ্চা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তফিজুল হক (২৫)। ওই এলাকাতেই তার বাড়ি। তফিজুলের ছোঁড়া গুলিতে জখম হয়েছেন আতাউর রহমান নামে ভুটভুটি চালক। তাঁর পেটে গুলি লেগেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ভুটভুটি চালককে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজবিহীন একটি পাইপগান এবং বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, তফিজুলের সঙ্গে আতাউরের টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে কোনও গোলমাল চলছিল। তফিজুল, আতাউরের কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল কী না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন,“টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে গোলমালের কারণে তফিজুল আতাউরকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করে। বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে তফিজুলকে পিটিয়ে মারে। টাকা ছিনতাই করা হয়েছিল কিনা তাও দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ সুপার জানান, তফিজুলকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে বুধবার সকালে বলঞ্চা এলাকা থেকে সাতজন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের এদিন ইসলামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সকলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, চাকুলিয়া থানার ওসি পলাশ মোহান্ত জানান, মৃতের ভাই কুদ্দুস আলি ১৮ জনের বিরুদ্ধে তাঁর দাদাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলেই ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার দরকার পড়েনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, চাকুলিয়ার কোনাকামাত এলাকার বাসিন্দা এক ভুটভুটি চালক গোদাশিমূল থেকে গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেইসময় তফিজুল ও তার এক সঙ্গী ওই ভুটভুটি চালককে আটক করে টাকা দাবি করেন। সেইসময় ওই ভুটভুটি চালক ফোন করে আতাউরকে ডাকেন। আতাউর কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুপক্ষের বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়। সেইসময় তফিজুল আতাউরকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ পেয়ে বাসিন্দারা ছুটে আসলে তফিজুল বাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে কিছুদূর গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সে বাইক সমেত রাস্তার ধারে উল্টে পড়ে। তারপরেই বাসিন্দাদের একাংশ তফিজুলকে পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ।
তফিজুলের বিরুদ্ধে এর আগেও বাসিন্দারা মৌখিকভাবে একাধিক সমাজবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে পুলিশের বক্তব্য, লিখিত অভিযোগ না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy