নকশালবাড়িতে গিয়েও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব সবিস্তারে সমস্যা, অভাব অভিযোগের কথা না শোনায় ব্যবসায়ীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রী নকশালবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির দফতরে যান। কিছুক্ষণ থাকার পরেই তিনি আগাম কর্মসূচি রয়েছে বলে সেখান থেকে চলে যান। এর পরেই ব্যবসায়ীদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সমিতির কর্মকর্তারা তাঁদের শান্ত করেন। ঘটনাচক্রে, এদিন নকশালবাড়িতে গিয়ে স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেন। কেন রাজ্য সরকার এসএসবির গুলি চালানো নিয়ে তদন্ত করছে না সেই প্রশ্ন তোলেন শঙ্করবাবু। নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি করেন।
ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত সোমবার তোতারাম জোতে গরু পাচারের ঘটনাকে ঘিরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। পরে এক দল দুষ্কৃতী শহরে ঢুকে কয়েকটি দোকানে হামলা চালায়। গাড়ি, মোটরবাইক ভাঙচুর হয়। ব্যবসায়ীরা একদিন পরে প্রতিবাদে ব্যবসা বন্ধও হয়। কিন্তু, ঘটনার পর দিন মন্ত্রী এলাকায় গেলেও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করেননি। এদিন দেখা করলেও বেশিক্ষণ থাকলেনই না। মিনিট ১৫ থেকেই চলে গেলেন। বন্ধ কেন করা হল তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে গেলেন কেন সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। মন্ত্রীর দাবি, “আমি নকশালবাড়ির সমস্যা জানি। এদিন ওঁদের দফতরে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁরা লিখিতভাবেও কিছু জানিয়েছেন। আবার ওঁদের সঙ্গে বসব। এই নিয়ে ক্ষোভের কী রয়েছে?” ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বাজারের পরিকাঠামো নিয়ে তাঁদের অনেক কিছু বলার ছিল। তবে ২৭ জানুয়ারির পর উনি ফের বৈঠক করবেন বলে জানান। ব্যবসায়ী সমিতির দফতরে যাওয়ার আগে মন্ত্রী গুলিতে নিহত শান্তিনগরের বাসিন্দা শিবকুমার রায়ের বাড়িতে যান। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি ১০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্যও করেন। মন্ত্রী বলেন, “পরিবারটি দুঃস্থ। পরিবারটিকে চাকরি বা অন্য কীভাবে সাহায্য করা যায় তা দেখা হবে।” এদিন শঙ্করবাবুও নিহতের বাড়িতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা ও আহতদের বাড়িতে গিয়ে ২ হাজার টাকা করে তুলে দেন। সন্ধ্যায় নিহতের বাড়িতে যান অশোক ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য বাম নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy