Advertisement
E-Paper

গ্রামসভায় ক্ষোভ, সরব বিরোধীরা

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বাছাই পর্ব প্রায় শেষ। এখন চলছে সংসদ ধরে গ্রাম সভা। আর সেই সভাকে ঘিরে ক্ষোভ-বিক্ষোভের আঁচ লেগে আছে। অভিযোগ, যিনি যোগ্য, তাঁর নাম নেই আবাস তালিকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৩১
আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভ চলছেই। কোথাও গ্রাম সংসদ সভা গোপনে করছে, কোথাও তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগে ক্ষোভ বাড়ছে।

আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভ চলছেই। কোথাও গ্রাম সংসদ সভা গোপনে করছে, কোথাও তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগে ক্ষোভ বাড়ছে। ফাইল চিত্র।

আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভ চলছেই। কোথাও গ্রাম সংসদ সভা গোপনে করছে, কোথাও তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগে ক্ষোভ বাড়ছে। উত্তর দিনাজপুরের ন’টি ব্লকেই এই ছবি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী দলগুলো।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বাছাই পর্ব প্রায় শেষ। এখন চলছে সংসদ ধরে গ্রাম সভা। আর সেই সভাকে ঘিরে ক্ষোভ-বিক্ষোভের আঁচ লেগে আছে। অভিযোগ, যিনি যোগ্য, তাঁর নাম নেই আবাস তালিকায়। এমন ঘটনায় শাসক শিবিরও প্রশ্ন তুলছে। গ্রাম সংসদ সভাগুলোতে এই ঘটনা দেখে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের। কোথাও আবার প্রশাসনিক কর্তাদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে, কোথাও আবার প্রশাসনের কর্তাদের ঘিরে বিক্ষোভ ঘটছে।

গোয়ালপোখর ব্লক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম রসুল সরাসরি কেন্দ্র সরকারকে দায়ী করেছেন। রসুলের দাবি, ‘‘গোয়ালপোখরের বেশির ভাগ মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক। অল্প কিছু আয়ের টাকায় কেউ টিনের ছাউনি করেছেন। কেউ আবার পাকা ভিত তৈরি করেছেন। তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে।’’ রসুলের মন্তব্য, ‘‘নতুন নিয়মের গেরোয় নাম বাদ গিয়েছে। এতে একটা অংশের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম তো মেনে চলতে হবে। এতে দলের কিছু করার নেই। কেন্দ্র সরকার যে নিয়ম বেঁধে দিয়েছে, রাজ্যে সরকার সে নিয়ম মেনে সমীক্ষা করেছে। আমরা সে কথা বোঝাচ্ছি।’’ প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শ’য়ে শ’য়ে অভিযোগ জমা পড়ছে ব্লক থেকে জেলা প্রশাসনের দফতরে।

বিজেপি নেতা বাসুদেব সরকারের অভিযোগ, “গ্রাম সংসদ সভা করার ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে আগাম নোটিস দেওয়া এবং মাইকে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া। কিন্তু শাসক দলের পঞ্চয়েত সদস্যেরা চুপিসারে গ্রাম সভা করছেন।’’

করণদিঘির বাজারগাঁও ১ গ্রামের আন্দারিয়া আদিবাসী গ্রামের রাম হাঁসদা বলেন, “আমি দিনমজুরি করি। বাবা প্রতিবন্ধী। মাটির ঘরে বসবাস। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। কিন্ত সরকারি ভাবে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে। সে তালিকায় নাম নেই।’’

অনেকের দাবি, পঞ্চায়েতে যাঁরা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাঁরা নিজেদের ঘনিষ্ঠদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। ফলে, প্রকৃতেরা বাদ গিয়েছেন তালিকা থেকে। উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা অবশ্য বলেন, “সরকারি ভাবে নিয়ম মেনে তালিকা বাছাই করা হয়েছে।’’

Pradhan Mantri Aawas Yojna PMAY protests Uttar Dinajpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy