আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে শিশু বিভাগে জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি শিশুরা। বৃহস্পতিবার। ছবি: নারায়ণ দে
কেউ জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত। তাদের মধ্যেই কেউ আবার শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছে। অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে চিন্তার আবহে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগে এ ধরনের রোগীদের ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায়, অনেক শয্যায় দুটি করে শিশুকেও রাখতে হচ্ছে। জেলা হাসপাতালের ‘সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট’ (এসএনসিইউ) বিভাগের পরিস্থিতিও একই বলে অভিযোগ। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রতি বছরই এই সময়টাতে হাসপাতালে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগতে থাকা শিশুদের ভর্তির সংখ্যা একটু বেশি থাকে। এ বছর নতুন করে সে হার বাড়েনি।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৫০টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছে ৭০টি শিশু। যার মধ্যে প্রায় চল্লিশটি শিশু জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত। একই ভাবে হাসপাতালের ‘এসএনসিইউ’-তে ৩০টি শয্যা থাকলেও, সেখানেও মাঝেমধ্যেই তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ শিশু ভর্তি থাকছে। এ ছাড়া, হাসপাতালের বহির্বিভাগে (আউটডোর) জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে প্রায়প্রতিদিনই অনেক বাবা-মা ভিড় জমাচ্ছেন। যদিও কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে প্রতিদিন যত শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, প্রায় সেই সংখ্যক শিশু রোজ সুস্থ হয়ে ছুটিও পাচ্ছে।
আলিপুরদুয়ারের উত্তর জিতপুর এলাকার সপ্তমী সরকারের পাঁচ মাসের শিশুপুত্র জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে দু’দিন জেলা হাসপাতালে ভর্তি। ওই গৃহবধূ বলেন, “বুধবার রাত থেকে আচমকাই আমার ছেলের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ফলে, চিন্তায় পড়ে যাই। তবে বৃহস্পতিবার সকালে ওর সেই সমস্যা মিটেছে।” আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া ভোলারডাবরির বাসিন্দা গৃহবধূ টুম্পা বর্মণ আবার তাঁর এক বছরের দুই যমজ শিশুপুত্রের এক সঙ্গে জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে চিন্তিত। এ দিন দুই ছেলেকে নিয়ে জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে যান তিনি। টুম্পা বলেন, “বুধবার রাত থেকেই আমার দুই ছেলের জ্বর ও সর্দি-কাশি। তাই এ দিন হাসপাতালের আউটডোরে নিয়ে এসে ডাক্তার দেখালাম।”
সুপার পরিতোষ মণ্ডল বলেছেন, “মরসুম বদলের এই সময়টাতে প্রতি বছরই শিশুদের মধ্যে একটু জ্বর ও সর্দি-কাশির প্রকোপ দেখা দেয়। এ বারও সেটাই হয়েছে। অন্য বছরগুলিতে এই সময়ে হাসপাতালে যে সংখ্যায়শিশুরা এ ধরনের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়, এ বারও সে সংখ্যাতেইভর্তি হচ্ছে। গুরুত্ব দিয়ে সকলের চিকিৎসা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy