Advertisement
E-Paper

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষিকার ঝুলন্ত দেহ! বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের

পুলিশ সূত্রে খবর, ববিতা কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে তুফানগঞ্জ মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ২৩:৩৭

—প্রতীকী চিত্র।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের হল ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শিবমন্দির এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে গবেষিকা ববিতা দত্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা হলেও মৃতার পরিবার তা মানতে নারাজ। অবশেষে শনিবার রাতে মাটিগাড়া থানায় যান তারা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ববিতা কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে তুফানগঞ্জ মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ২০২১ সালে নেট ও জেআরএফে উত্তীর্ণ হয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েই ‘রুরাল ডেভলপমেন্ট’ বিভাগে গবেষিকার কাজে নিযুক্ত হন। অভিযুক্ত অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে তিনি গবেষণা করছিলেন। থাকতেন শিবমন্দির এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের অভিযোগ, গবেষণা চলাকালীন অভিযুক্ত অধ্যাপকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ববিতার। তাঁর পরিবার ও বন্ধুরা সে বিষয়ে জানতেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ববিতার সঙ্গে একাধিক বার সহবাসের অভিযোগও উঠেছে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, চলতি মাসের ১৫ তারিখ অধ্যাপকের সঙ্গে বচসা হয় ববিতার। তা পরিবারকেও জানান তিনি। অভিযোগ, ববিতার ভাড়া বাড়িতে এসে অধ্যাপক তাঁকে মারধর করেন। মানসিক অত্যাচারও চলে এবং জানিয়ে দেন, তিনি ববিতাকে বিয়ে করতে পারবেন না। ববিতা অধ্যাপকের কথা না শুনলে তাঁর গবেষণার কাজ সফল হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এর পরেই বৃহস্পতিবার ভাড়া বাড়ি থেকে ববিরার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সুত্রে খবর, মৃতার ঘর থেকে একটি ডায়েরি ও একটি ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে। ঘরের ভিতর পুড়িয়ে ফেলা বেশ কয়েকটি ডায়েরির পাতার হদিস মিলেছে।

ববিতার ভাই হরেকৃষ্ণ দত্ত বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপকই আমার দিদির মৃত্যুর পিছনে দায়ী। আমরা এর সুবিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এই অধ্যাপকের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’ অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, ‘‘সে আমার স্কলার। আমার তত্ত্বাবধানেই ছিল। তবে তার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আর এ সব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার এ সবের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।’’

Death north bengal university police investigation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy