আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য তরাই ডুয়ার্স আদিবাসী স্বশাসিত পর্ষদ তৈরির দাবি তুলল আদিবাসীদের একটি গোষ্ঠী। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন আদিবাসী জনশক্তি মোর্চা নামের সংগঠনটি। তাঁদের দাবি, উত্তরবঙ্গের চা বাগিচা তো বটেই গোটা তরাই-ডুয়ার্সে ৩০ লক্ষ আদিবাসী আছেন। আগের সরকারের আমলে তো বঞ্চনা হয়েছেই। এখনও তা চলছে। সরকার আদিবাসী উন্নয়ন দফতর তৈরি করলেও তাঁরা সঠিকভাবে কাজ করছেন না। চা বাগানের জমির পাট্টা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা কর্ম সংস্থানের জন্য সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। এরজন্যই সংবিধান স্বীকৃত আলাদা স্বশাসিত পর্ষদ দরকার।
সংগঠনের সভাপতি পরিমল লুগুন এবং সাধারণ সম্পাদক জেরম লাকড়া জানান, বছরের পর বছর আদিবাসী বঞ্চিত। তাঁদের সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে না। শিক্ষার ক্ষেত্রেও বৈষম্য হচ্ছে। বীরপাড়ায় হিন্দি কলেজ হলেও ৬ শতাংশ আদিবাসী তাতে সুযোগ পান। একের পর এক চা বাগান বন্ধ হচ্ছে। বিভাগীয় মন্ত্রীকে সেখানে যেতে দেখা যায় না। কেন্দ্রীয় কোটি কোটি টাকা আদিবাসীদের উন্নয়নে আসছে। কোথাও খরচ হচ্ছে তা পরিষ্কার নয়। বিভিন্ন আদিবাসীদের সংগঠন থাকলেও তাঁরা সরকারের মুখাপেক্ষী থেকে যাচ্ছেন। সংগঠন এ বার আন্দোলনে নামবে। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করছেন।
সংগঠন সূত্রের খবর, আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সঙ্গেই ছিলেন জনশক্তি মোর্চার নেতৃত্ব। ২০১৪ সালে মনোমালিন্যের জেরে কয়েকজন পরিষদ থেকে বার হয়ে নতুন সংগঠনটি তৈরি করেছে। ডুয়ার্সে এবং তরাই-এর সংগঠন তৈরির চেষ্টা চলছে। এ দিন পর্ষদের দাবি প্রসঙ্গে রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী জেমস কুজুর বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের জন্য যা করছেন তা ভাবাই যায় না। এরা নিজেদের প্রচারের আলোয় রাখতে এসব বলছে।’’
মন্ত্রী জানান, এ সরকারের আমলে আলাদা দফতর, কো-অপারেটিভ তৈরি হয়েছে। আলাদা বোর্ড তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। কুরুক ভাষার সরকারি স্বীকৃতি মিলেছে। আর কোথায় কী টাকা খরচ হচ্ছে তা তো ওয়েবসাইট বা তথ্য জানার অধিকারে চিঠি করলেই জানা যায়। এতে আন্দোলনের কী আছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy