বাজারে ছড়িয়ে রয়েছে প্রায় ১৬০ কোটি। পুরোনো নোট নেওয়া এবং জমা দেওয়া দুইই বেঁধে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাহলে ঋণের টাকা ঘরে উঠবে কী করে? নতুন ঋণ-ই বা দেওয়া যাবে কী ভাবে? প্রশ্ন-আশঙ্কায় ভুগছে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে ধর্ণায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানানো হয়।
ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী এ দিন অভিযোগ করেন, গত ১৪ নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে পাঠানো এক নির্দেশে বলা হয়েছে, সমবায় ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের থেকে পুরানো পাঁচশো বা হাজারের নোট নিতে পারবে না৷ এরপর গত ১৭ নভেম্বর আরেকটি নির্দেশে বলা হয় এই ব্যাঙ্কগুলি অন্য কোন ব্যাঙ্কে পাঁচশো বা হাজার টাকার পুরানো নোট জমাও করতে পারবে না৷ সৌরভবাবুর অভিযোগ, ‘‘এর ফলে কৃষকদের থেকে ঋণের টাকা উদ্ধারে যেমন সমস্যা হবে, তেমনি কৃষকদের নতুন করে ঋণ দেওয়াও সমস্যা হবে।’’
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির মাধ্যমে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে প্রতি বছর প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার কৃষক ঋণ নেন৷ ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক জানান, এই সময়টাতেই বেশীরভাগ কৃষক সেই ঋণের টাকা পরিশোধ করেন৷ তারপর ফের নতুন করে কৃষকদের ঋণ প্রদান করা হয়৷ সৌরভবাবুর আশঙ্কা, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশের ফলে কৃষকদের ঋণ দেওয়া সম্ভব না হলে এ বছর জেলার কৃষি কাজও ব্যাপকভাবে মার খাবে।
এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি প্রয়োজনে আইনের পথে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান৷ তিনি বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে ধর্নায় বসা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy