শোকস্তব্ধ: ভেঙে পড়েছে মৃত শ্রমিকের পরিবার। নিজস্ব চিত্র। শোকস্তব্ধ: ভেঙে পড়েছে মৃত শ্রমিকের পরিবার। নিজস্ব চিত্র।
মালদহ: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মালদহের দুই শ্রমিকের। বুধবার সকালে দেহ ফিরতেই উত্তেজনা ছড়াল ইংরেজবাজার থানার নরহাট্টার সাতঘরিয়া গ্রামে। অভিযোগ, দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের মৃত্যু হলেও শ্রমিক সরবরাহকারী মৃতদেহ কোন নথি দেননি। যার প্রতিবাদে শ্রমিক সরবরাহকারীদের বাড়িতে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুরও চালায় মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা। ঘটনায় তাঁদের পাল্টা মারধরের অভিযোগ ওঠে শ্রমিক সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে দীর্ঘদিন মালদহ-রতুয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
মৃতদের নাম এক্রামুল হক (৩৫) ও তফিজুল হক (১৯)। তাঁদের বাড়ি নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের বুধিয়া এবং রাজাপুর গ্রামে। তাঁরা কাজ করতে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের পুণেতে। গত, শনিবার রাতে কাজ করে ট্রাক্টরে করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। সেই সময় ট্রাক্টরটি উল্টে যায়। ছ’জন জখম হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। এ দিন সকালে তাঁদের দেহ গ্রামে পৌঁছয়। পরিবারের দাবি, মৃতদেহের সঙ্গে কোন নথিপত্র দেওয়া হয়নি। নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এক্রামূল হক। তিনি শ্রমিক সরবরাহের কাজ করেন। গ্রামে তিনি তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত। এক্রামুল আড়াই মাস আগে তাঁদের টাওয়ারের কাজে পুনেতে পাঠিয়েছিলেন।
এ দিন সকাল আটটা নাগাদ পরিবারের লোকেরা এ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ নিয়ে যান এক্রামুলের বাড়ির সামনেই। সেখানে মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অভিযোগ, এক্রামুলের বাড়ির মহিলাদেরও মারধর করা হয়। এমনকি, বাড়িতে লুঠপাটও চালানো হয় বলে অভিযোগ। শ্রমিকদের পরিবারের পক্ষে ক্ষতিপূরণের দাবিও তোলা হয়েছে। এক্রামুল বলেন, ‘‘মৃতদের শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। শুধু থানার কিছু নথি আসেনি। দু’একদিনের মধ্যে তা চলেও আসবে। তারপরেও কিছু মানুষ উস্কে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, এখন কোনও অভিযোগ হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy