অজয় এডওয়ার্ড (বাঁ দিকে) এবং অনীত থাপা (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
জিটিএ প্রধান তথা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সভাপতি অনীত থাপার বিরুদ্ধে পাহাড়ে সন্ত্রাসের রাজনীতি আমদানি করার অভিযোগ তুললেন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড৷ শুক্রবার সকালে দার্জিলিঙে অজয় দাবি করেন, ‘‘গত দু’মাস বাবার চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। পাহাড়ে ফিরেই দেখছি, ক্ষমতা দখলের জন্য রক্ত ঝরানো হচ্ছে। পাহাড়বাসী এ ধরনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছেন।’’ গত বৃহস্পতিবার মিরিকের সৌরণি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে দল ভাঙানো, হামলা, মারধরের অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অনীত।
অজয়ের দাবি, ‘‘ অনীতকে বলছি, এটা কি তাঁর শান্তি, উন্নয়নের নমুনা? তাঁর অনুগামীরা রাস্তায় নেমে হামলা চালাচ্ছে। নির্বাচিতদের আটকে রাখা হয়েছে। প্রতিবাদ করতে গেলে, গুন্ডা নামিয়ে হামলা করা হয়েছে। পাথর ছোডা হয়েছে। মাথা ফাটানো হয়েছে। এটা উন্নয়নের রাজনীতি ভাবতেও খারাপ লাগছে।’’
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে অনীতের দাবি, ‘‘এলাকায় মহাজোটের নামে কোন্দল রয়েছে। অজয়, বিমল গুরুং—সবাই সমান। এলাকায় স্থানীয়েরা নিজেদের মধ্যে গোলমাল করছে, আর বদনাম করা হচ্ছে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাকে।’’ তিনি জানান, ভোটের দিন কালিম্পংয়ে বিরোধী এক প্রার্থীর উপরে হামলা হয়। পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার সৌরণি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শাসক দলের বিরুদ্ধে হামলা, হুমকির অভিযোগ ওঠে। সেখানে বোর্ড় গঠন করার কথা ছিল ‘মহাজোটের’। ১৩ আসনের গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ছটি এবং ‘মহাজোট’ সাতটি আসন পায়। সেখানে হামরো পার্টি, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, নির্দল সদস্যেরা আছেন। সকলে নীরা সুব্বাকে প্রধান নির্বাচিত করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রধান অনীতের সঙ্গে দেখা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দেন।
হামরো পার্টির অভিযোগ, প্রধান নির্বাচনের পরে নীরাকে এলাকার জিটিএ সদস্য অরুণ সিংচি এবং প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতারা চাপ দেন। তাঁকে আলাদা করে অফিসে রাখা হয়। পরে, তিনি প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দেন। যদিও তিনি স্বেচ্ছায় সব করেছেন বলে দাবি করেছেন নীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy