Advertisement
E-Paper

ডেঙ্গি নিয়ে ফের সতর্কতা

ফের ডেঙ্গির আতঙ্ক শিলিগুড়ি শহরে। শনিবার পরিস্থিতি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৫১

ফের ডেঙ্গির আতঙ্ক শিলিগুড়ি শহরে। শনিবার পরিস্থিতি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগ, কার্ড টেস্ট করে-ই অনেক নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগী ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে জানাচ্ছে। অথচ নিয়ম মাফিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা শিলিগুড়ি হাসপাতালে ম্যাক এলাইজা টেস্টের জন্য রক্তের নমুনা পাঠাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষগুলিকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।

বৈঠক করে মেয়র জানান, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক যে তথ্য দিচ্ছেন তাতে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সপ্তাহ তিনেক আগে যে হারে ডেঙ্গি হচ্ছিল তা অনেকটাই কমেছে। ডেঙ্গি সন্দেহ হলেই যেন রক্তের নমুনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বা শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পরীক্ষা হয় তা পরিবারের লোকদেরও খেয়াল রাখতে বলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘‘নেতাজিমোড়, ৬, ১৮, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলির অনেকেও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি বলে জানতে পেরেছি। তিন-চার দিনে ১৫/২০ হাজার টাকা খরচ করেও চিকিৎসা করাচ্ছেন তাঁরা। নার্সিংহোমগুলির ভূমিকা নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি। কয়েকটি এলাকাতেও গিয়েছিলাম। বাসিন্দারা যাতে সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করাতে যান সেই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’’

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, সম্প্রতি ১০৫ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তাতে ১৫ জনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। পুর এলাকার কেউ নেই। জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ১১৮ জন। তার মধ্যে শিলিগুড়ির চারটি ব্লকে ২৮ জন। পাহাড়ে ২৫ জন। হাসপাতালে চিকিৎসার কোনও সমস্যা হলে তাঁর দফতরেও বাসিন্দারা জানাতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁকেও জানাতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘‘কার্ড টেস্ট করে নিশ্চিত ডেঙ্গি হয়েছে বলা যায় না। সে কারণে ম্যাকএলাইজা পরীক্ষা করানো জরুরি।’’

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য নিয়ে মেয়র জানান, এখন পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৮৮ জন। তিন সপ্তাহে আগে এক সপ্তাহে ২০ জনের শরীরে ডেঙ্গি মিলেছিল। গত দু’সপ্তাহে সেই সংখ্যা ৫ এবং ৪ জন। চলতি সপ্তাহে এখনও কারও শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেও জ্বর হতে পারে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। তবে পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতর সতর্ক। ২০-২১ অক্টোবর স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা এবং সচেতনতা প্রচারে পাঠানো হচ্ছে। ২২ থেকে ২৬ অক্টোবর সমীক্ষা চলবে। ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ওই এলাকাগুলিতে মশা ও লার্ভা মারার তেল স্প্রে, ধোঁয়া ছড়ানো হবে। নির্মীয়মাণ বাড়ি এবং শহরের কয়েকটি এলাকায় জমে থাকা জল বের করতে পুরসভা ব্যবস্থা নেবে।

dengue
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy