Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ঘাসফুলের বিরুদ্ধে ‘যুব’

তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ’ প্রার্থীরা কেউ দাঁড়িয়েছেন লাঙল চিহ্নে। কেউ আবার কোদাল, নৌকা নিয়েও ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। সবারই পোস্টারে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।

প্রচার: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে প্রচার। নিজস্ব চিত্র

প্রচার: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে প্রচার। নিজস্ব চিত্র

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৮ ০৮:১৫
Share: Save:

দলের প্রতীক ঘাসফুল তাঁরা পাননি। তবে দলনেত্রীর ছবিই তাঁদের অস্ত্র। তা নিয়েই তাঁরা নেমেছেন ঘাসফুলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।

কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহ, বড় আটিয়াবাড়ি থেকে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের ছবি এমনটাই। তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ’ প্রার্থীরা কেউ দাঁড়িয়েছেন লাঙল চিহ্নে। কেউ আবার কোদাল, নৌকা নিয়েও ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। সবারই পোস্টারে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। যুব তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন তাঁরা। সব জায়গাতেই তাঁদের প্রতিপক্ষ তৃণমূলের জোড়াফুল। ওই সব এলাকায় পদ্মফুল, কাস্তে হাতুড়ি বা হাত চিহ্নের খোঁজ না পাওয়া গেলেও এমন অতিরিক্ত প্রার্থীদের নিয়েই ‘নাজেহাল’ তৃণমূল নেতৃত্ব।

জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিজে একাধিক এলাকায় প্রচারে গিয়ে গোঁজ প্রার্থীদের সতর্ক করলেও এখনও কাজের কাজ হয়নি। রবীন্দ্রনাথের হুঁশিয়ারি, “দলের কর্মী যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেননি তাঁদের লিফলেট বিলি করে সরে যেতে হবে। দলের প্রতীক পাওয়া প্রার্থীর সঙ্গেই থাকতে হবে তাঁদের। না হলে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া প্রত্যেকের বিরুদ্ধে।” আগামী ৬ মে কোচবিহারে প্রচারে পৌঁছবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তাঁর কাছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ওই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে জানা গিয়েছে।

দিনহাটায় যুব সংগঠনের সঙ্গে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। মনোনয়ন পত্র দেওয়ার কাজ শুরু হলে ওই বিরোধ তীব্র আকার নেয়। ইতিমধ্যেই দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অন্তত বারোটি পঞ্চায়েতে লড়াই তীব্র। গীতালদহের দোলগোবিন্দ এলাকায় নিতাই বর্মন লাঙ্গল নিহ্ন নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী হয়েছেন। বড় আটিয়াবাড়িতে সায়েদ হোসেন গ্রাম পঞ্চায়েতে নৌকা চিহ্ন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। এরকমই পুটিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে কল্পনা বর্মন, পঞ্চায়েত সমিতিতে সুদেব দাস প্রার্থী হয়েছেন। প্রত্যেকেই তাঁদের পোষ্টারে যুব তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে পোষ্টারে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তাঁদের বক্তব্য, “দল যাঁদের প্রার্থী করেছে তাঁদের কেউ চায় না। কিন্তু স্থানীয় নেতারা তা মানেননি। তাই যুব তৃণমূলের হয়েই লড়াইয়ে নেমেছি।”

যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য জানিয়েছেন, দল যাদের প্রতীক দিয়েছেন তাঁদের পাশেই যুব সংগঠন রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে করছি। এ ছাড়া পুরো বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাবো।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE