ভট্টাচার্য বাড়িতে এ বার এই ছবির কিঞ্চিত বদল ঘটবে। — ফাইল চিত্র
শতবর্ষ পুরনো খড়্গ দিয়ে পুজোর তিন দিন বলি হয় ভট্টাচার্য বাড়িতে। আট পুরুষ ধরে চলে আসা ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো অন্য পুজোর থেকে অনেকটাই আলাদা। সাধারণত প্রতিমার ডান দিকে থেকে লক্ষ্মী ও গণেশ, বাঁ দিকে থাকে কার্তিক ও সরস্বতী। কিন্তু এখানে প্রথার বিপরীতে দুর্গার বাঁ দিকে বসে গণেশ এবং ডান দিকে রাখা হয় কার্তিককে। তবে সরস্বতী ও লক্ষ্মীর স্থান পরিবর্তন হয় না। ১৯৪৮ সাল থেকে আলিপুরদুয়ার শহরের বাবুপাড়ায় ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। পুজোর আদি সূচনা হয়েছিল অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার কোটালি পাড়ায়।
কবে কেন পুজোর সূচনা হয়েছিল, তা এখন আর জানা যায় না। তবে ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশ থেকে আলিপুরদুয়ার আসার সময় দুর্গাপুজোর সামগ্রী বাসন ও মহিষ বলির খড়গ নিয়ে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের অন্যতম প্রবীণ সদস্য কমেলশ ভট্টাচার্য জানান, আট পুরুষ ধরে চলে আসছে বাড়ির দুর্গাপুজো। এক সময় বাংলাদেশের বাড়িতে পুজোর সময় একাধিক মহিষ বলি দেওয়া হত। বহু মানুষ ভিড় জমাতেন। ১৯৪৮ সাল থেকে প্রায় একই কাঠামোতে পুজো হয়ে আসছে ভট্টাচার্য বাড়িতে।
পুজোর তিন দিন নিরামিষ ও আমিষ ভোগ দেওয়া হয় দেবীকে। নানা ভাজার সঙ্গে ইলিশ মাছ থেকে পাঁঠার মাংস থাকে ভোগের তালিকায়। বাড়ির অন্য এক কর্তা অসিত ভট্টাচার্য জানান, পুজোর জন্য আত্মীয়রা সকলেই সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন। পুজোর তিন দিন মিলনমেলার রূপ নেয় বাড়ি। পুজোর কয়েক দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় কাঁসার বাসন মাজা থেকে, পুজো মণ্ডপ পরিষ্কার করার কাজ। নিজস্ব কাঠামোতে পাল পাড়ায় তৈরি হয় প্রতিমা। ষষ্ঠীর সকাল থেকেই শুরু হয় পুজোর নিয়ম নিষ্ঠা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy