Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Gorkhaland

পাহাড়ে ফের গোর্খাল্যান্ডের জিগির, গুরুংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সমাবেশ অজয়, বিনয় তামাংদের

কালিম্পংয়ের সমাবেশে বক্তারা বলেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে এ বার কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ানো হবে। কারণ, রাজ্য সরকার পৃথক রাজ্য দিতে পারবে না বলে তাঁদের দাবি।

কালিম্পংয়ে সমাবেশে পাহাড়ের গোর্খাল্যান্ডপন্থী নেতারা।

কালিম্পংয়ে সমাবেশে পাহাড়ের গোর্খাল্যান্ডপন্থী নেতারা। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০২
Share: Save:

পাহাড়ে আবার গোর্খাল্যান্ডের জিগির। নতুন করে সরগরম দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং। সোমবার গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কালিম্পংয়ে সমাবেশের আয়োজন করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেখান থেকেই ‘গোর্খাল্যান্ড চাই’ বলে আওয়াজ উঠল। উপস্থিত ছিলেন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং, হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড, জিটিএ সদস্য বিনয় তামাংরা। তাঁরাও পৃথক রাজ্যের দাবির পক্ষ নিয়ে বক্তব্য করেন। এমনকি ঘোষণা করে দেওয়া হয়, সোমবার থেকেই আবার গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলন শুরু হয়ে গেল। বাংলা ভাগের প্রশ্নই নেই, পাল্টা জানান রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

গোর্খাল্যান্ডের দাবি উস্কে দিলেন গুরুং। গুরুংয়ের দাবিতে সঙ্গত করেন অজয় এডওয়ার্ড, বিনয় তামাং। সবাই মিলে সোমবার কালিম্পংয়ে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে সেমিনার করেন। সেখানে বিনয় বলেন, ‘‘এই দাবি প্রতিটি গোর্খার। তাঁদের জন্যই আমরা চাই পৃথক রাজ্য। আমার মনে হয়, সকলে মিলে এই দাবিতে সরব হওয়া উচিত।’’ হামরো পার্টির প্রধান অজয় বলেন, ‘‘আশির দশকে যখন পৃথক রাজ্য নিয়ে আন্দোলন হয়, তখন আমি ছোট ছিলাম। কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের পাহাড়ের বাসিন্দারা নিজের রাজ্যের পক্ষে। তাই আমরা চেষ্টা করব সরকারকে চাপ দিয়ে নিজেদের দাবি পূরণ করাতে।’’

এ দিন আলোচনা সভায় জাতীয় কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও তা হয়নি। এমনকি আন্দোলনের রূপরেখাও তৈরি হয়নি। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে। তার পর ঠিক হবে কোন পথে আন্দোলন। এ প্রসঙ্গে বিমল গুরুং বলেন, ‘‘আমরা হিংসাত্মক আন্দোলন করব না। তবে গোর্খাল্যান্ডের জন্য যা যা করা উচিত, সব কিছু করব। সরকারকে চাপে রাখার কৌশল ঠিক করব। আমাদের আন্দোলন দিল্লিমুখী হবে। কারণ বাংলার সরকার আলাদা রাজ্য দিতে পারবে না। তবে এ বার সকলকে মিলে আন্দোলন করতে হবে নিজেদের জন্য।’’

বাংলাকে কোনও ভাবেই ভাগ করা যাবে না, তা স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘এ রকম অনেক আন্দোলন হতে পারে। তবে বাংলাকে পৃথিবীর কোনও শক্তি ভাগ করতে পারবে না। বাংলা অটুট রাখাই আমাদের দায়িত্ব।’’ পাশাপাশি বিনয় তামাং প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। যাঁরা দলের নীতি থেকে বিচ্যুত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলই ব্যবস্থা নেবে। তবে বিনয় তামাং লিখিত ভাবে কিছু জানাননি।’’

পাহাড়ে পৃথক রাজ্যের দাবি আজকের নয়। সুবাস ঘিসিং থেকে শুরু করে আজকের বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড— এই দাবি তুলেই বছরের পর বছর ধরে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রেখেছেন। যদিও এখনও এই দাবিপূরণ দূর অস্ত। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে আবার নতুন করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলছেন গুরুং, এডওয়ার্ড, তামাংরা। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার সেই দাবির মোকাবিলা কী ভাবে করে, তা অবশ্য সময়ই বলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE