Advertisement
E-Paper

মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেয়ে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

নানা ভাবে আর্জি জানিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর রায়গঞ্জ সফরের সময়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না পেয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ উত্তর দিনাজপুরের ব্যবাসয়ী মহল। শনিবার পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সদস্যরা এক সংবাদিক সম্মেলনে জানান, তাঁরা সংগঠনের তরফে জেলাশাসক রণধীর কুমার ও রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করে ইমেল পাঠিয়েও সাড়া পাননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৫ ০৩:০০

নানা ভাবে আর্জি জানিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর রায়গঞ্জ সফরের সময়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না পেয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ উত্তর দিনাজপুরের ব্যবাসয়ী মহল। শনিবার পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সদস্যরা এক সংবাদিক সম্মেলনে জানান, তাঁরা সংগঠনের তরফে জেলাশাসক রণধীর কুমার ও রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করে ইমেল পাঠিয়েও সাড়া পাননি। ফলে, জেলার বণিক মহলের সমস্যার কথা তাঁরা জানানোর সুযোগ পাননি। তাই ১৭ জুন সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্পিড পোস্টের মাধ্যমে জেলার সার্বিক উন্নয়নের ১১ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে।

পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুণ্ডু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী রায়গঞ্জে এসে জেলায় শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন, অথচ তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করলেন না। তাই স্মারকলিপিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লিখেছি, আপনি যত বারই রায়গঞ্জে এসেছেন, আমরা আপনার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছি। অনুমতি না মেলায় দেখা করতে পারিনি। আপনি আপনার সময় ও সুবিধা মতো আমাদের সময় দিন। আমরা জেলার উন্নয়নের স্বার্থে যে কোনও দিন কলকাতায় গিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত রয়েছি।’’

১৬ জুন মুখ্যমন্ত্রী উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। ১৩ তারিখ জেলাশাসক ও মুখ্য সচিবের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রার্থনা করে ইমেল পাঠানো হয় বলে চেম্বার অফ কমার্সের দাবি।

পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্স জেলার ব্যবসায়ীদের সবচাইতে বড় সংগঠন। ওই সংগঠনের অধীনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীদের ৬১টি ছোট সংগঠন রয়েছে। সব মিলিয়ে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। সংগঠনের সম্পাদক জয়ন্ত সোম বলেন, ‘‘কেন মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সময় দিচ্ছেন না সেটা বুঝতে পারছি না।’’

জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বৈঠক করতে রায়গঞ্জে এসেছিলেন। ওই দিন শিলিগুড়িতে আরেকটি সরকারি বৈঠক থাকায় তাঁর হাতে সময়ও কম ছিল। সে জন্যই তিনি কারও সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেননি।’’

জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের কটাক্ষ, চেম্বার অফ কমার্সের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনকে গুরুত্বহীন মনে করা কখনও উচিত নয়।

বণিক সংগঠনের স্মারকলিপিতে চোপড়া থানার উত্তর গোরাসহিদ এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বাংলাদেশ হয়ে জলপাইগুড়ি জেলার কোতয়ালি থানার চাউলহাটি পর্যন্ত পুরনো রাস্তা চালু অথবা ফ্লাইওভার তৈরি, রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ, রাধিকাপুর-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ চালু, রায়গঞ্জ-বারসই রাস্তা, ডালখোলায় বাইপাস নির্মাণ, রায়গঞ্জে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল কলেজ তৈরি-সহ একাধিক দাবি জানানো হয়েছে।

north dinajpur Businessman mamata bandopadhyay chief minister west bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy