Advertisement
১৭ মে ২০২৪
জানিয়ে দিল কোচবিহার প্রশাসন

চকচকার জমি গ্রেটারের নয়, মালিক শিল্প নিগম

চকচকার ‘বিতর্কিত’ জমির মালিকানা শিল্প নিগমের বলেই জানিয়ে দিল কোচবিহার জেলা প্রশাসন। সোমবার বিকেলে এ কথা জানান কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। এ দিনই তাঁর কাছে ভূমি রাজস্ব দফতরের একটি রিপোর্ট জমা পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০২:৩৭
Share: Save:

চকচকার ‘বিতর্কিত’ জমির মালিকানা শিল্প নিগমের বলেই জানিয়ে দিল কোচবিহার জেলা প্রশাসন। সোমবার বিকেলে এ কথা জানান কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। এ দিনই তাঁর কাছে ভূমি রাজস্ব দফতরের একটি রিপোর্ট জমা পড়ে। সেই রিপোর্টে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, ওই জমি শিল্প নিগম নব্বইয়ের দশকে কিনেছে। জমির মিউটেশনও হয়নি। অভিযোগ, সেই সুযোগেই জমির আগের মালিক এবং ব্লক ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের ভুল বুঝিয়ে ওই জমি নিজেদের নামে করে নিয়েছে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন।

প্রশাসন সূত্রের খবর, নব্বই দশকের চকচকায় শিল্পতালুক তৈরির জন্য বহু জমি কেনা হয়েছিল। পরে একটি অংশে কারখানা চালু হয়। কিন্তু একটি বড় অংশ ফাঁকা পড়ে থাকে। কয়েক বছর আগে থেকেই ওই মাঠে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গ্রেটার। ওই জমি তাঁরা কিনে নিয়েছে বলে জানিয়ে দেয়। এর পরেই তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। শিল্পনিগমের তরফের ওই জমি তাঁদের বলে জানিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল।

জেলাশাসক বলেন, ‘‘বিতর্কের কোনও ব্যাপার নেই। ওই জমি শিল্পনিগমের। মিউটেশনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ওই ব্যাপারে সব খতিয়ে দেখে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।” গ্রেটার নেতারা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন। সংগঠনের সভাপতি নির্মল রায় বলেন, “এমন ভাবে কোনও জমি কেনা যায়? সহজেই বোঝা যাচ্ছে এই ধরনের বক্তব্য বিভ্রান্তি ছড়ানো ছাড়া কিছু নয়। আমাদের কাছে সমস্ত নথি রয়েছে।”

ওই মাঠেই আগামী ২৮ অগস্ট গ্রেটার ‘মার্জার ডে’ পালনের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছে। ওই অনুমতি গ্রেটারকে দেওয়া হবে না বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। ওইদিনের অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে গন্ডগোলের আশঙ্কার কথা জানানো হয় প্রশাসনকে। তার জেরেই ওই সিদ্ধান্ত। কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক অরুন্ধতী রায় বলেন, “পুলিশের তরফ থেকে আপত্তির কথা জানানো হয়।” কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, “প্রচুর লোক সমাগমে গণ্ডগোলের আশঙ্কা থেকে অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE