প্রতীকী ছবি।
যত দ্রুত সম্ভব হাতির হামলায় মৃত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বিলির নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরকন্যায় তিন জেলার আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল বুধবার। জলপাইগুড়ি জেলা নিয়ে পর্যালোচনা চলার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানতে চান হাতির হামলায় কত জনের মৃত্যু হয়েছে? এখনও ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন কতজন? জেলা প্রশাসনের তরফে যে হিসেব দেওয়া হয় তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা রিপোর্টের মিল ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সে কথা জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘দফতর যে রিপোর্ট দিচ্ছে তার সঙ্গে জেলার তথ্যের মিল নেই। আপনারা সমন্বয় করে কাজ করুন।’’ বনমন্ত্রীকে বিষয়টিতে নজর দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন এ দিন। তবে সবার আগে ক্ষতিপূরণ বিলির কাজ দ্রুত সারার নির্দেশ দিয়েছেন।
হাতির হানা রুখতে কি অ্যাকশন প্ল্যান হবে, তা-ও জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়ি জেলার বনাঞ্চল এলাকায় বুনো হাতির লোকালয়ে বেড়িয়ে আসার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক। ধান খেত, ভুট্টা খেত লাগোয়া এলাকাগুলিতে হাতির হামলার ঘটনা বেশি। হাতির হামলায় মৃত্যু অথবা ফসল নষ্টের পরে বাসিন্দাদের বিক্ষোভও চলে। একাধিকবার ক্ষুব্ধ জনতা বন দফতরের গাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছে। বনকর্তাদের দাবি, বুনো জন্তুদের জঙ্গল থেকে লোকলয়ে চলে আসা আটকানো কঠিন। ক্ষতিপূরণে দেরির অভিযোগও মেনে নিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy