Advertisement
E-Paper

চা নিয়ে মোদীর দাবিতে বিতর্ক

চা বাগান খোলা নিয়ে ময়নাগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবির পরই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল৷ শাসক দলের থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, চা বাগান খোলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে দাবি করছেন তা ঠিক নয়৷

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৫
ময়নাগুড়ির সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ময়নাগুড়ির সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

চা বাগান খোলা নিয়ে ময়নাগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবির পরই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল৷ শাসক দলের থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, চা বাগান খোলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে দাবি করছেন তা ঠিক নয়৷ শনিবার ড়ুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকদের একাংশও সেই দাবি মানতে চাইলেন না৷ যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপি শিবিরে৷ তবে তৃণমূলের অনেক নেতাই অবশ্য তা দেখে মুচকি হাসছেন৷ সব মিলিয়ে ভোটের আগে চা শিল্পে অন্য সব সমস্যাকে ছাপিয়ে বাগান খোলার দাবিকে ঘিরেই যেন রাজনীতির উত্তাপ তুঙ্গে আলিপুরদুয়ারে৷

গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে আলিপুরদুয়ার জেলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সেই সময় আলিপুরদুয়ারের অনেক চা বাগানই বন্ধ ছিল৷ যার মধ্যে ডানকানের বেশ কিছু বাগানও ছিল৷ জেলায় বন্ধ ওই চা বাগানগুলির অনেকগুলিই এই মুহূর্তে খুলেও গিয়েছে৷ যার একটি হান্টাপাড়া চা বাগান। সেই বাগানের শ্রমিক শরম থাপা শনিবার বলেন, ‘‘গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বাগান খোলা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ফিরে যাওয়ার পর কেন্দ্রের তরফে কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি৷ পরবর্তীতে বরং রাজ্য সরকারি আমাদের বাগান খুলেছে৷’’ একই দাবি করেন গ্যারগেন্দা চা বাগানের শ্রমিক বুলু লামাও৷ আর তুলসিপাড়া চা বাগানের শ্রমিক সুন্দর কোলে বলেন, ‘‘বাগান খোলা নিয়ে কালকের সভা থেকে যা শুনলাম তাতে হাসি পায়৷’’

শ্রমিকদের এই কথাই বলেছেন তৃণমূলের নেতারা। তাঁদের দাবি, শ্রমিকদের কথাই প্রমাণ করে কারা বাগান খুলেছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “বাম আমলে বাগান শ্রমিকদের যে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছিল, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই তার পরিবর্তন হয়৷ তৃণমূল সরকার একের পর এক বাগান খোলে৷ শ্রমিকদের মুখে হাসিও ফোটে৷ কিন্তু ময়নাগুড়িতে চা বাগান খোলা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী যে দাবি করলেন, তারপর একজন দেশবাসী হিসাবে তাকে প্রধানমন্ত্রী ভাবতে লজ্জা হচ্ছে৷”

পাল্টা বিজেপির চা শ্রমিক নেতা জন বার্লা বলেন, ‘‘আমি আগেও বলেছি, কেন্দ্র চা বাগান খুলেছে বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেছেন, তা শুনিনি৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্র বন্ধ বাগান খুলতে উদ্যোগী হয়েছিল৷ যা রাজ্যের বাধায় খুলতে পারেনি৷ রাজ্যের বাধায় চা শ্রমিকরা কেন্দ্রের অনেক প্রকল্পের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন৷’’

Jalpaiguri Narendra Modi Tea Garden
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy