গত পাঁচ বছরে বিধায়ককে এলাকায় দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। তাই নির্বাচনের প্রাকমুহূর্তে রতুয়ার বিদায়ী বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ ঘিরে দলের অন্দরেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছে।
সমরবাবুকে ফের যাতে প্রার্থী না করা হয় সেজন্য কোতুয়ালি ভবনে স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে একাংশ দরবারও শুরু করেছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। সমরবাবুকে প্রার্থী করা হলে তারা দল ছাড়বেন বলেও হুমকি দিয়েছেন নেতা-কর্মীদের একাংশ। একেই মালদহে কয়েকটি আসনে সিপিএমের সঙ্গে জোটের আসন ভাগাভাগিকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। তার ওপর রতুয়া আসনকে ঘিরে দলের অন্দরেই বিক্ষোভের জেরে অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা নেতৃত্ব।
জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী তথা উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নুর বলেন, ‘‘রতুয়ায় প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ থাকলে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।’’
দলীয় নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, গত নির্বাচনে রতুয়ায় একটি কলেজ তৈরি ও বাসস্ট্যান্ডের সমস্যা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর জন্য বিধানসভায় একবারও বিধায়ক সরব হননি বলে তাঁদের অভিযোগ। আদতে রতুয়ার মহানন্দটোলার বাসিন্দা হলেও বেশির ভাগ সময়েই তিনি কলকাতায় থাকতেন বলে অভিযোগ। ফলে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজকর্ম দূরের কথা, আপদে-বিপদে বিধায়ককে ফোন করলেও কলকাতায় রয়েছি বা অসুস্থ রয়েছি বলে তিনি দায় এড়িয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। ফলস্বরূপ সম্প্রতি বিধায়কের নিজের গ্রাম মহানন্দটোলাতে স্কুল ভোটেও শোচনীয় ভাবে কংগ্রেসকে হারতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা।
সমরবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘গোপনে যারা এসব করছেন তারা দলের কেউ নয়। আমার প্রার্থীপদ নিয়ে যা বলার জেলা সভানেত্রী বলবেন।’’
তবে বিদায়ী বিধায়কের ঘনিষ্ঠদের দাবি, বিধায়কের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ফুলহার নদীর উপরে ২৬৫ কোটি টাকায় সেতু তৈরির কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মিলেছে সমরবাবুর জন্যই।
ফুলহারে সেতুর বরাদ্দের কৃতিত্ব অবশ্য একা সমরবাবুকে দিয়ে রাজি নন দলের নেতাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, সাংসদও ফুলহারে সেতুর জন্য তত্কালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে বারবার দরবার করায় বরাদ্দ মিলেছিল।
সমরবাবুর বিরোধী এক নেতার কথায়, ‘‘সমরবাবু ফের প্রার্থী হলে দলে ভাঙন অবশ্যম্ভাবী।’’
রতুয়া-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, ‘‘কে কি বলছে তাতে যায় আসে না। প্রদেশ কংগ্রেস যাকে প্রার্থী করবেন তা আমাদের মেনে নিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy