Advertisement
০৬ মে ২০২৪

অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটায় অভিযুক্ত পুলিশ

বৈধ অনুমতি ছাড়াই দফতরের একটি কাঁঠাল গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিরুদ্ধে।

এই কাঁঠাল গাছ কাটা নিয়েই বিতর্ক।—নিজস্ব চিত্র।

এই কাঁঠাল গাছ কাটা নিয়েই বিতর্ক।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৬ ০২:০১
Share: Save:

বৈধ অনুমতি ছাড়াই দফতরের একটি কাঁঠাল গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিরুদ্ধে। বুধবার শিলিগুড়ির কাছারি রোড়ে পোস্ট অফিসের উল্টো দিকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসের জায়গায় গাছটি কাটতে দেখে বাসিন্দাদের অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। পরিবেশপ্রেমী কয়েক জন গিয়ে গাছটি কাটার ক্ষেত্রে অনুমতি রয়েছে কি না জানতেও চান। কেন না, গাছটি অন্তত ৫০ বছরের পুরনো। প্রচুর পাখিও এসে বসে ওতে। তা ছাড়া বাস, অটো ধরতে যাঁরা অপেক্ষা করেন, তাঁরা গাছের ছায়ায় দাঁড়ান।

স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ কর্মীরা বাসিন্দাদের জানান, যা জানার পুলিশ কমিশনারের দফতরে জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন। পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা অবশ্য বলেন, ‘‘ওই অফিসে গাছ কাটার বিষয়টি জানা নেই। অনুমতি নিয়ে করা হচ্ছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

নিয়ম মাফিক কোনও গাছ কাটতে গেলে বন দফতরের অনুমতি দরকার। সেই সঙ্গে পুর এলাকা হলে পুর কর্তৃপক্ষকে জানানোই বিধেয়। কিন্তু সে সব নিয়ম না মেনে এ দিন কাঁঠাল গাছটি কাটা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি বন দফতরের নজরে আনতে বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের অফিসেও যান কয়েক জন। সেখান থেকেও ‘বিষয়টি দেখা হচ্ছে’ বলে আশ্বাস দিয়ে লিখিত অভিযোগ করতে বলা হযেছে। পরিবেশপ্রেমী সংগঠন হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘বাড়ির গাছ কাটতে গেলেও এখন বন দফতরের অনুমতি বাধ্যতামূলক বলে নিয়ম রয়েছে। অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটা হলে তা কখনই ঠিক হয়নি।’’ তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান। বৈকুণ্ঠপুরের বনাধিকারিক পিআর প্রধান বলেন, ‘‘বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা উচিত। এ ক্ষেত্রে কী হচ্ছে খোঁজ নেব। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

পুলিশের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিস তৈরির জন্য নির্মাণ কাছ করতে ওই জায়গায় থাকা কাঁঠাল গাছটিকে কাটা হচ্ছে। তবে বন দফতরের অনুমতি কেন নেওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পুলিশ কর্মীদের অনেকের মধ্যেও। তবে নিজেদের দফতরের বিষয় বলে তাঁরা প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। পুরসভার মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘শহরের মধ্যে কোনও গাছ কাটতে হলে পুরসভাকে অবশ্যই জানাতে হবে। ওই গাছ কাটার ব্যাপারে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

siliguri cutting trees police permission
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE