Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Coronavirus

সুস্থ হয়েও সংক্রমণ! উঠছে প্রশ্ন

দার্জিলিং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘দ্বিতীয়বার সংক্রমণ ঘটার কয়েকটি কেস আমাদের নজরে এসেছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি ও বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৬:০৮
Share: Save:

একবার করোনা সংক্রমণ হয়েছিল, সুস্থ হয়ে ফের সংক্রমণ হয়েছে। এমন ঘটনাও দেখা যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। কোনও ব্যক্তির একবার করোনা সংক্রমণ হওয়ার পর তাঁর শরীরে অ্যান্টিবডি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার কথা। অথচ ফের সংক্রমণের ঘটনায় করোনা ভাইরাসের অন্য কোনও ‘সাব টাইপ’ সক্রিয় কি না তা চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের।

দার্জিলিং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘দ্বিতীয়বার সংক্রমণ ঘটার কয়েকটি কেস আমাদের নজরে এসেছে। সে সব নিয়ে তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সেগুলো গবেষণা করে দেখতে হবে যে এই অঞ্চলে করোনা ভাইরাসের অন্য ‘টাইপ’ সংক্রমণ ঘটাচ্ছে কি না।’’ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার জানান, অন্য সাবটাইপ বা একই সাব টাইপের থেকেও দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হতে পারে। তবে তা পরীক্ষা না করলে বোঝা যাবে না।

দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটেও কিছু বিষয় নজরে এসেছে স্বাস্থ্য দফতরের। সরকারি সূত্রেই খবর, বালুরঘাটের চকভৃগুর চককাশি এলাকার করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে ২৮ জুন নমুনা পরীক্ষার পর ‘সেফ হাউজ’-এ ভর্তি করানো হয়। সাতদিন পর তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি সংক্রমিত। বালুরঘাট শহরের চকভবানি এলাকায় গত ৩০ জুন একই বাড়িতে থাকা বাবা ও ছেলে সংক্রমিত হলে তাঁদের সেফ হাউজে রেখে চিকিৎসা হয়। সুস্থ বলে তাঁদের ছুটিও হয়। এরপর ১৩ জুলাই ফের লালারস পরীক্ষা হলে করোনা সংক্রমণ রয়েছে বলে জানা যায়। একইভাবে বালুরঘাটের বাদামাইল এলাকার এক আশাকর্মীও করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হন। ১৩ জুলাই ফের পরীক্ষায় আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। ওঁরা সকলেই বালুরঘাট শহরের নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের সেফ হাউজে ছিলেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে অবশ্য দাবি করেন, ‘‘আইসিএমআরের গাইডলাইন মেনে রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে। সেফ হাউজ থেকে ছুটি দেওয়ার পর আরও ৭ দিন গৃহ নিভৃতবাসে থাকতে বলা হচ্ছে। দ্বিতীয়বার কেউ সংক্রমিত হচ্ছে কি না খতিয়ে না দেখে তা বলা যাবে না।’’

উপসর্গ নেই তাই সুস্থ বলে, বালুরঘাটে ওই করোনা আক্রান্তদের সাত-দশ দিন পরে সেফহাউজ থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে সে সময় পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে না তাঁদের আদৌও নেগেটিভ এসেছে কি না। কিছু ক্ষেত্রে বাড়ি ফিরে দু’একদিন পর উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তখন আবার পরীক্ষা করে পজ়িটিভ মিলছে। তবে সেটা দ্বিতীয় বার সংক্রমণ না কি প্রথম সংক্রমণই রয়ে গিয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে স্বাস্থ্য দফতর মনে করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Covid 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE