রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল হাইমাদ্রাসার পরিচালন সমিতি দখল করলেন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস সমর্থিত জোট প্রার্থীরা। রবিবার সমিতির ছ’টি আসনে নির্বাচন হয়। চারটি আসনে জয়ী হয়েছেন জোটপ্রার্থীরা। তৃণমূলের দখলে যায় দু’টি আসন। গত তিন বছর ধরে সমিতি নিজেদের দখলে রেখেছিল বামফ্রন্ট।
নির্বাচনের আগে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিন্দোল অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি খলিলুর রহমান ও পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তৃণমূল নেতা মনসুর আলির গোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। ভোট কাটাকাটির জেরেই এবারও ওই মাদ্রাসা সমিতি নিজেদের দখলে আনা গেল না বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী।
তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রায় দু’সপ্তাহ আগে খলিলুর রহমান ও মনসুর আলি সমিতির ছ’টি আসনের জন্য একটি প্রার্থী তালিকা তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য অমলবাবুর কাছে পাঠান। কিন্তু অমলবাবু তাঁদের প্রস্তাবিত চার প্রার্থীকে মেনে নিলেও বাকি দু’জনকে মানতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতেও তাঁদের প্রস্তাবিত ছ’জন অভিভাবককে প্রার্থী করার দাবিতে অনড় থাকেন খলিলুর ও মনসুর। অমলবাবুও তাঁর প্রস্তাবিত দু’জন অভিভাবককে প্রার্থী করার পাল্টা সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। প্রার্থী বাছাই নিয়ে সহমত না হওয়ায় অমলবাবু ছ’টি আসনেই তাঁর অনুগামীদের দাঁড় করিয়ে দেন। খলিলুর ও মনসুরের নির্দেশে তাঁদের অনুগামীরাও ছ’টি আসনে দাঁড়িয়ে পড়েন। দু’পক্ষের রেষারেষির জেরে পরবর্তীতে অমলবাবুর এক অনুগামী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এরপর দু’পক্ষই তাঁদের ১১ জন প্রার্থীকে তৃণমূলের প্রার্থী বলে দাবি করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দেন। নির্বাচনে অমলবাবুর অনুগামী ৪ প্রার্থী পরাজিত হন।
খলিলুরবাবু ও মনসুরবাবুর দাবি, ‘‘অমলবাবু কিছুদিন আগে দলের কর্মীদের বিরোধিতা উপেক্ষা করে বিধানসভা নির্বাচনে অন্তর্ঘাতে অভিযুক্ত একাধিক নেতাকে দলের বিভিন্ন পদে বসিয়েছেন। এবারে সমিতির নির্বাচনেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়।’ অমলবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘খলিলুর ও মনসুর নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে সব আসনে প্রার্থী দিয়ে পরোক্ষে জোটকে মদত দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy