Advertisement
E-Paper

ডেঙ্গির প্রকোপ মালদহেও

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত অন্তত ২৫ জন রোগী মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলিতে যেমন রোগীর ভিড়ে ঠাঁই নেই অবস্থা, তেমনই আউটডোরেও রোগীর ভিড় মারাত্মক। বিশেষ করে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৩২
হাসপাতালের আউটডোরের সামনে রোগীদের লাইন। — নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালের আউটডোরের সামনে রোগীদের লাইন। — নিজস্ব চিত্র

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত অন্তত ২৫ জন রোগী মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলিতে যেমন রোগীর ভিড়ে ঠাঁই নেই অবস্থা, তেমনই আউটডোরেও রোগীর ভিড় মারাত্মক। বিশেষ করে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। ভিড় সামাল দিতে হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের গেটে ১০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারও মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কাউন্টারের সংখ্যা মাত্র দু’টি থাকায় প্রচন্ড ভিড়ে ওষুধ নিতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন রোগীরা।

এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে মালদহ জেলার বিভিন্ন এলাকার রোগীর পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলারও বেশ কয়েকজন রয়েছেন। এ দিকে মালদহ জেলার মানিকচক ব্লকের বেগমগঞ্জ গ্রামে অজানা জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের ঘরে ঘরে মানুষ জ্বরে আক্রান্ত। গত ১২ তারিখ গ্রামের বাসিন্দা কেষ্ট মণ্ডল (৫৫) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারাও গিয়েছেন। শুক্রবার, ওই গ্রামে এলাকার বিধায়কের পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের একটি মেডিকেল টিমও গিয়েছে।

মালদহ জেলাতেও ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি দিনই জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভরতি হচ্ছেন। তাঁদের রক্তের ম্যাকঅ্যালাইজা পরীক্ষা করে ডেঙ্গির জীবাণুও মিলছে। বর্তমানে হাসপাতালে ২৫ জন রোগী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য পৃথক কোনও ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করেনি। ওই রোগীদের হাসপাতালের মেল ও ফিমেল মেডিকেল ওয়ার্ডে ভর্তি রেখেই চিকিতসা চলছে। হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ বলেন, ‘‘বর্তমানে হাসপাতালে বেডের চেয়ে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। ফলে শুধুমাত্র ডেঙ্গি রোগীদের জন্য পৃথক কোনও ওয়ার্ড খোলার প্রয়োজনীয় ঘর ও পরিকাঠামো নেই। তবে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত যে ২৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের মেল ও ফিমেল মেডিকেল ওয়ার্ডের মধ্যেই মশারিতে রেখে চিকিৎসা চলছে।’’

মানিকচক ব্লকের বেগমগঞ্জ গ্রামের মানুষদের সন্দেহ, কেষ্টবাবু ডেঙ্গিতেই আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। যদিও জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘কেষ্টবাবু মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। এ দিন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে এলাকায় মেডিকেল টিম গিয়েছে। আজ শনিবার থেকে এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প করে জ্বরে আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষা করা হবে। মশা মারতে হবে ফগিংও। পাশাপাশি, মানুষকে সচেতনও করা হবে।’’

এ দিকে একাধিক মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই বেগমগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ দিন ওই গ্রামে যান মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিন আলম। তিনি রাজ্য বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিরও সদস্য। তিনি জানান, কয়েকদিন ধরেই বেগমগঞ্জ গ্রামের দু’টি বুথ এলাকার বাসিন্দারা অজানা জ্বরে ভুগছেন, কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের কোনও হেলদোল নেই। তিনি বলেন, ‘‘অনেক বলার পর এ দিন অবশ্য এলাকায় মেডিকেল টিম গিয়েছে। আমি বিষয়টি স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় তুলব।’’

Dengue
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy