নির্বাচন ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে চার দিন। তৃণমূল তাঁদের প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিয়ে জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে। পিছিয়ে নেই বামেরাও। সংগঠন নড়বড়ে হয়ে পড়লেও প্রচার শুরু করে দিয়েছে তাঁরা। মাঠে দেখা নেই বিজেপির। এখনও তারা তাঁদের প্রার্থীর নামই ঘোষণা করতে পারেনি। তা নিয়ে দলের নিচুতলায় ক্ষোভ তীব্র আকার নিয়েছে।
জেলা অফিসেও অনেক নিচুতলার কর্মী তা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই বলেন, “এ বার জেলায় দলের ফল ভাল হওয়ার কথা। অথচ নেতাদের গাফিলতিতে প্রথম রাউন্ডেই আমরা পিছিয়ে পড়লাম।” কংগ্রেসও এখনও তাদের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি। তবে সোমবার কোচবিহার উপনির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রদেশ নেতৃত্ব।
বিজেপির কোচবিহার জেলার সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “প্রার্থীর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। আমরা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নাম প্রস্তাব আকারে রাজ্যে পাঠিয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্র ওই নাম ঘোষণা করা হবে।” দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, “অনেকে জানতে চাইছেন এটা ঠিক। একটু অপেক্ষা করতে হবে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক নেতা বলেন, “কর্মীরা প্রস্তুত। তাঁদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।”
দলীয় সূত্রের খবর, গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে প্রার্থী হয়ে বিজেপির হেমচন্দ্র বর্মন পান দুই লক্ষাধিক ভোট। যা চমকে দেওয়ার মতো মনে করেন জেলার অনেক নেতাই। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই কয়েক বছরে দলের সংগঠন আরও মজবুত হয়েছে। ছিটমহল বিনিময় কমিটির নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত, গ্রেটার নেতা আনোয়ার হোসেন দলে যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতে দল কেন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
বিজেপির একটি সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মনকে প্রার্থী করানোর ব্যাপারে দলের একটি অংশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তা নিয়েই আলোচনা চলছে। এ দিকে, কংগ্রেসের তরফে দলের কোচবিহার জেলা নেতা শ্যামল চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রদেশ নেতৃত্বের বৈঠকে উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, “খুব শীঘ্রই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy