আগ্রাসী: ময়নাগুড়ির আমগুড়ির খেমনপাড়ায় জলঢাকা নদী ভাঙছে পাড়। সোমবার। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
জল নামলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে ভাঙন৷ বৃষ্টি কমায় জলপাইগুড়ি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেশিরভাগ নদীর জলই খানিকটা কমেছে৷ কিন্তু অনেক জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে ভাঙন৷ ময়নাগুড়ির রামসাই,আমগুড়ি এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই চলছে জলঢাকা নদীর ভাঙন৷ এ দিনও ওই দুই এলাকার প্রচুর জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে৷ এছাড়াও তিস্তা নদীর ভাঙন চলছে মান্তাদারি, মিলনপল্লি এলাকায়৷
জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ভাঙন রুখতে সেচ দফতরের কর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে৷ প্রশাসনের এক কর্তা জানান, বিডিও-দেরও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে৷
পাহাড় ও সমতলে প্রবল বৃষ্টির জেরে রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়৷ জলপাইগুড়ি শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডও জলমগ্ন হয়ে পড়ে৷ সন্ধ্যার পর বেশিরভাগ জায়গা থেকে জল নামলেও করলা নদী উপচে দিনবাজারের মাছ বাজার ও আনাজ বাজার জলমগ্ন হয়ে পড়ে৷ একই কারণে জলমগ্ন হয় ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনির নিচু এলাকাও৷ প্রচুর মানুষ রাস্তায় আশ্রয় নেন৷
তবে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় রাতের দিকে তিস্তার জল কমতে শুরু করে৷ জল কমে করলাতেও৷ দিনবাজার ও পরেশ মিত্র কলোনির বিভিন্ন জায়গা থেকে জল নেমে যায়৷ তবে এ দিন তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ১৯৫৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়৷ সেচ দফতর সূত্রের খবর, বিকাল পাঁচটার পর থেকে তিস্তার জল আবার বাড়ছে৷ দোমহনিতে তিস্তা নদীতে এখনও হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy