Advertisement
০৬ মে ২০২৪

জল নামতেই ভাঙন

জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ভাঙন রুখতে সেচ দফতরের কর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে৷ প্রশাসনের এক কর্তা জানান, বিডিও-দেরও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে৷

আগ্রাসী: ময়নাগুড়ির আমগুড়ির খেমনপাড়ায় জলঢাকা নদী ভাঙছে পাড়। সোমবার। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

আগ্রাসী: ময়নাগুড়ির আমগুড়ির খেমনপাড়ায় জলঢাকা নদী ভাঙছে পাড়। সোমবার। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৭ ০৩:৪৯
Share: Save:

জল নামলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে ভাঙন৷ বৃষ্টি কমায় জলপাইগুড়ি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেশিরভাগ নদীর জলই খানিকটা কমেছে৷ কিন্তু অনেক জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে ভাঙন৷ ময়নাগুড়ির রামসাই,আমগুড়ি এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই চলছে জলঢাকা নদীর ভাঙন৷ এ দিনও ওই দুই এলাকার প্রচুর জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে৷ এছাড়াও তিস্তা নদীর ভাঙন চলছে মান্তাদারি, মিলনপল্লি এলাকায়৷

জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ভাঙন রুখতে সেচ দফতরের কর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে৷ প্রশাসনের এক কর্তা জানান, বিডিও-দেরও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে৷

পাহাড় ও সমতলে প্রবল বৃষ্টির জেরে রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়৷ জলপাইগুড়ি শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডও জলমগ্ন হয়ে পড়ে৷ সন্ধ্যার পর বেশিরভাগ জায়গা থেকে জল নামলেও করলা নদী উপচে দিনবাজারের মাছ বাজার ও আনাজ বাজার জলমগ্ন হয়ে পড়ে৷ একই কারণে জলমগ্ন হয় ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনির নিচু এলাকাও৷ প্রচুর মানুষ রাস্তায় আশ্রয় নেন৷

তবে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় রাতের দিকে তিস্তার জল কমতে শুরু করে৷ জল কমে করলাতেও৷ দিনবাজার ও পরেশ মিত্র কলোনির বিভিন্ন জায়গা থেকে জল নেমে যায়৷ তবে এ দিন তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ১৯৫৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়৷ সেচ দফতর সূত্রের খবর, বিকাল পাঁচটার পর থেকে তিস্তার জল আবার বাড়ছে৷ দোমহনিতে তিস্তা নদীতে এখনও হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rain Flood Erosion বৃষ্টি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE