Advertisement
২৩ মার্চ ২০২৩

কোন্দলে ঝুলছে তালা, প্রশিক্ষণ বন্ধই

দীর্ঘ দিন ধরে কোচবিহার রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে অফিস করে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাজকর্ম পরিচালনা হচ্ছিল। গত রবিবার ওই অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

বন্ধ: দফতরে ঝুলছে তালা। —নিজস্ব চিত্র।

বন্ধ: দফতরে ঝুলছে তালা। —নিজস্ব চিত্র।

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:২৬
Share: Save:

তালা ঝুলছে জেলা ক্রীড়া দফতরের অফিসে। যার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিসের প্রশিক্ষণ। গত তিন দিন ধরে কোচবিহার উন্ডোর স্টেডিয়ামে কোনও প্রশিক্ষণ হয়নি। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা। ছড়িয়েছে ক্ষোভও। ১০ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যস্তরের একটি টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল জেলা ক্রীড়া দফতর। এই অবস্থায় সেই খেলাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

Advertisement

দীর্ঘ দিন ধরে কোচবিহার রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে অফিস করে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাজকর্ম পরিচালনা হচ্ছিল। গত রবিবার ওই অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ যুব ও ক্রীড়া দফতরের কোচবিহার জেলা স্টেডিয়াম কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি জানান, দফতর ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথের ঘোষের নির্দেশে তিনি তালা ঝুলিয়েছেন। মন্ত্রী অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশে চেয়ারম্যান তালা দিয়েছে।

কোচবিহার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব বিষ্ণুব্রত বর্মন বলেন, “তালা ঝোলানোর ফলে শতাধিক ছেলেমেয়ের প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতার আসরও হয়ত আর বসানো হবে না। এর দায় পুরসভার চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীকে নিতে হবে।” রাজবাড়ি স্টেডিয়ামের ভিতরে ইন্ডোর স্টেডিয়াম রয়েছে। সেখানে কোচবিহার জেলা ক্রীড়া দফতরের অফিস। ইন্ডোর স্টেডিয়ামে টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টনের প্রশিক্ষণ চলত। শতাধিক ছাত্রছাত্রী প্রশিক্ষণ নিতেন। চেয়ারম্যানের দাবি, “প্রশিক্ষণ বাইরে করতেই পারে। তা নিয়ে কোনও অসুবিধে নেই।’’ দুই-একদিনের মধ্যে বৈঠক করে সমস্যা মেটানো হবে বলে তাঁর আশ্বাস।

গোটা ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখছেন অনেকে। বিষ্ণুবাবু প্রাক্তন সাংসদ তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ বর্মনের ছেলে। বিষ্ণুবাবুর অভিযোগ, তাঁকে হেয় করতেই অফিসে তালা ঝোলানো হয়। অভিভাবকরা অবশ্য ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তাঁদের একজন জানান, তাঁর ছেলে ব্যাডমিন্টনের প্রশিক্ষণ নিতে নিয়মিত স্টেডিয়ামে যায়। রবিবার সেখানে হইচই শুরু হলে ফিরে যেতে হয় তাদের। ওই অভিভাবকের অভিযোগ, “প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যা। এটা ঠিক হয়নি। আগে ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করা উচিত।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক অভিভাবক বলেন, “তৃণমূলের দলাদলির মধ্যে আমরা পড়তে চাই না। প্রশিক্ষণ দ্রুত শুরু হোক, এটা আমরা চাই।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.