উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জুড়েই ধর্মঘটের ভাল প্রভাব লক্ষ করা গেল। উত্তর দিনাজপুরের সদর রায়গঞ্জে সকাল থেকেই ছোট বড় মিছিল হয় ধর্মঘটের সমর্থনে। দোকান বাজার প্রায় খোলেইনি। সরকারি বাস চললেও যাত্রী ছিল কম। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের চিত্রটাও প্রায় একই রকম। দুই জেলাতেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। কোথাও তেমন অপ্রীতিকর কোনও ঘটনার খবর মেলেনি।
উত্তর দিনাজপুরে ধর্মঘট সর্বাত্মক ছিল। সকাল থেকে রায়গঞ্জে বাম দলগুলি বড় মিছিল করে। সেখানে জেলার নবীন প্রবীণ প্রায় সব নেতাকেই দেখা গিয়েছে। বড় মিছিল হয় কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর, ডালখোলাতেও। এই চার শহরে কংগ্রেসও আলাদা করে মিছিল করে ধর্মঘটের সমর্থনে। রায়গঞ্জে বেসরকারি অফিস খোলেনি। সরকারি অফিস খুললেও উপস্থিতি ছিল কম।
উত্তর দিনাজপুর জেলার রাজ্য এবং জাতীয় সড়কে সরকারি বাস পণ্যবাহী গাড়ি চললেও যাত্রী বা সাধারণ মানুষের আনাগোনা ছিল কম। বেসরকারি পরিবহণ রাস্তায় বিশেষ দেখা যায়নি। সকালে ৩৪ এবং ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ হয়।