Advertisement
E-Paper

ভুলের ফাঁদে সাবেক ছিট

কোথাও ‘বিবি’ হয়েছেন ‘শেখ’। আবার কোথাও ‘বিবি’ হয়েছেন ‘আলি’। ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পেতেই এমন নাম দেখে ঘাবড়ে গিয়েছেন কোচবিহারের সাবেক ছিটমহল মশালডাঙার বাসিন্দারা। তার উপর আবার কাছের রেশন দোকানের গ্রাহক তালিকায় নাম নেই বেশিরভাগেরই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৬ ০২:৩৪
রাবেয়া বিবির কার্ডে লেখা রয়েছে রাবেয়া আলি। — নিজস্ব চিত্র

রাবেয়া বিবির কার্ডে লেখা রয়েছে রাবেয়া আলি। — নিজস্ব চিত্র

কোথাও ‘বিবি’ হয়েছেন ‘শেখ’। আবার কোথাও ‘বিবি’ হয়েছেন ‘আলি’। ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পেতেই এমন নাম দেখে ঘাবড়ে গিয়েছেন কোচবিহারের সাবেক ছিটমহল মশালডাঙার বাসিন্দারা। তার উপর আবার কাছের রেশন দোকানের গ্রাহক তালিকায় নাম নেই বেশিরভাগেরই। কারও নাম উঠেছে কুড়ি কিলোমিটার দূরের রেশন দোকানের গ্রাহক তালিকায়, কারও আবার তিরিশ কিলোমিটার দূরে।

এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেশন আনতে গেলে তাঁদের লাভের থেকে লোকসান হবে বেশি । যে ভাড়া গুণতে হবে তাতে বাজার থেকেই কম দামে জিনিস কিনতে পারবে তাঁরা। এত সমীক্ষার পরেও কিভাবে কার্ডে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। দিনহাটার মহকুমাশাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ বলেন, “যেটুকু ভুল রয়েছে তা সংশোধন করে দেওয়া হবে। আর রেশন দোকান যাদের দূরে রয়েছে তাঁরা নিয়মমাফিক একটি ফর্মপূরণ করলে সমস্যা মিটে যাবে।”

মধ্য মশালডাঙার বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন জানান, তাঁদের পরিবারের সবার করলার একটি রেশন দোকানের গ্রাহক করা হয়েছে। ওই এলাকা মধ্য মশালডাঙা থেকে প্রায় তিরিশ কিলোমিটার দূরে। দু’টি বাস পাল্টে সেখানে যেতে হয়। তিনি বলেন, “হিসেব করে দেখেছি ওই রেশন দোকানে যেতে যে ভাড়া লাগবে তাতে রেশন দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনলে লোকসানে পড়তে হবে। বাজারের থেকে বেশি দাম পড়ে যাবে। এর কোনও মানে হয় না।” মশালডাঙার আরেক বাসিন্দা আজিবর শেখ অভিযোগ করেন, তাঁদের কামাত আবুতারা এলাকার গ্রাহক করা হয়েছে। ওই এলাকা কুড়ি কিলোমিটার দূরে। তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি কাছে একাধিক রেশন দোকান রয়েছে। তা বাদ দিয়ে কেন দূরের দোকানে নাম পাঠানো হল তা বোঝা যাচ্ছে না।” ওই সমস্যা সমাধানে ফর্মপূরনের কথা শুনেও তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেন, “রেশন কার্ডের জন্য সবসরকম তথ্য আমাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। তার পরেও কেন ভুল হবে? আবার ফর্মপূরণের জন্য আমাদের ঘোরাঘুরি করতে হবে। সেটা একটা হয়রানির ব্যাপার। তাতে সময়ও লাগবে। ততদিন তো আমাদের এই সমস্যার মধ্যে থাকতেই হবে।”

মশালডাঙার এক বাসিন্দা রাবিয়া বিবির কার্ডে ‘বিবি’র জায়গায় ‘আলি’ লেখা। সালমা বিবির নামের সঙ্গে জোড়া হয়েছে ‘শেখ’। তাঁরা বলেন, “ মহিলাদের নামের পাশে কেউ আলি, শেখ লেখে এমনটা শুনিনি।’’

মানব অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “কাজ করার সময় সঠিক ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সে কারণেই এমনটা হয়েছে বলে মনে হছে। অবিলম্বে তা ঠিক করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।”

Enclave Digital ration card
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy