Advertisement
০৩ মে ২০২৪

ডেঙ্গি রুখতে আগাম মাঠে

মে থেকে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা মাসে ১০ দিন করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা চালানো ও ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচতনতাও চালাচ্ছেন। বাড়িগুলি চিহ্নিত করে পুর আধিকারিকদেরও পাঠাতে চায় তারা।

কোন কোন বাড়িতে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সমীক্ষা হয়েছে, তা বুঝতে লিখে দিচ্ছেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। মালদহে। নিজস্ব চিত্র

কোন কোন বাড়িতে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সমীক্ষা হয়েছে, তা বুঝতে লিখে দিচ্ছেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। মালদহে। নিজস্ব চিত্র

জয়ন্ত সেন
মালদহ শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৭ ১০:৩০
Share: Save:

গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার শহরে ডেঙ্গি মোকাবিলায় আগাম মাঠে নামার উদ্যোগ নিয়েছে ইংরেজবাজার পুরসভা। সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দফতরও রয়েছে। শহরের সমস্ত নিকাশিনালা সাফ শুরু করার সঙ্গেই মশা মাপার তেল স্প্রে ও কামান দাগাও চলছে।

মে থেকে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা মাসে ১০ দিন করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা চালানো ও ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচতনতাও চালাচ্ছেন। কিন্তু ডেঙ্গি নিয়ে সেই সচেতনতা ও সমীক্ষা চালাতে গিয়ে অনেক পরিবারের তরফেই অসহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের। তা নিয়ে চিন্তিত পুরসভা। বাড়িগুলি চিহ্নিত করে পুর আধিকারিকদেরও পাঠাতে চায় তারা।

গত বছর ইংরেজবাজার শহরে ১৬৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বেসরকারি মতে অবশ্য আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। কেননা, বেসরকারি নার্সিংহোম বা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে যে রোগীদের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছিল তাঁদের পরিসংখ্যান নেই। অনেকে কলকাতায় গিয়েও চিকিত্সা করেছেন, সেই তথ্যও অমিল। তবে, ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর নেই।

ডেঙ্গির বাহক যাতে বংশ বিস্তার করতে না পারে সেজন্য ইংরেজবাজার শহরে এ বার গরমের শুরুতেই সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর। পুরসভার ১৬৫ জন স্বাস্থ্য কর্মী প্রতিটি বাড়িতে ফর্ম নিয়ে গিয়ে পরিবারের যাবতীয় তথ্য নিচ্ছেন। বাড়িতে কেউ জ্বরে আক্রান্ত কি না, বাড়িতে কোনও জমা জল রয়েছে কি না, জমে থাকলে সেখানে লার্ভা রয়েছে কিনা সেসবই তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি, ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটাও বোঝাচ্ছেন। সেই কাজ নজরদারি করছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি সিএমওএইচ অমিতাভ মণ্ডল নিজেই।

পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, মে মাস থেকে যে সমীক্ষা চলছে তাতে এখনও উদ্বেগজনক কোনও তথ্য নেই। শহরের কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সেটাও মেলেনি। কিন্তু সমীক্ষা চালাতে গিয়ে শহরের বেশ কিছু পরিবার তথ্য জানাতে অসহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলার শুভময় বসু বলেন, শহরের ২০ শতাংশ বাড়ি তথ্য দিতে অসহযোগিতা করছে। পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘ওই পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করে সেই বাড়িগুলিতে পুরসভার আধিকারিকদের আমরা পাঠাবো।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE