Advertisement
১৯ মে ২০২৪
High Madrasah

High Madrasah Exam: দশের মধ্যে স্থান, আজিজা-রৌনক-সানিয়াদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নপূরণে বাধা হতে পারে টাকা

৭৬৫ পেয়ে আশিকা খাতুন রাজ্যে নবম স্থান দখল করেছেন। তাঁর বাবা আব্দুর রহমান পেশায় দিনমজুর।

আজিজা খাতুন ও ইমরানা আফরোজ।

আজিজা খাতুন ও ইমরানা আফরোজ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২২ ০০:৫২
Share: Save:

রাজ্যের হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফলাফলে রীতিমতো তাক লাগিয়েছে মালদহের বিভিন্ন হাই মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। রাজ্যে প্রথম স্থানাধিকারী মালদহের ছাত্রী সরিফা খাতুন। পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৮৬। মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন ইমরানা আফরোজ। ইমরানা মালদহ রতুয়া থানার বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী। বড় হয়ে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে চাওয়া ইমরানা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোনও প্রাইভেট টিউশনি নেননি। করোনার ফলে স্কুলও বন্ধ ছিল। ফলে বাড়িতেই পড়াশুনো চালিয়ে যান তিনি। দিনে প্রায় সাত থেকে ন’ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। ইমরানার বাবা পেশায় মাদ্রাসা স্কুলেরই শিক্ষক।মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় রাজ্যের তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। মালদহের কালিয়াচক থানার মেয়ে আজিজা খাতুন। তিনি কালিয়াচক দরিয়াপুর বাইশি হাই মাদ্রাসার ছাত্রী। পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৩। আজিজার বাবা হরমুজ শেখ পেশায় লরিচালক। মা রশিদা বিবি বিড়ি বাঁধে। প্রথম হওয়া সরিফার মতোই আর্থিক প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছে আজিজাকে।

আজিজাও বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু টাকা কোথা থেকে আসবে তা নিয়ে এখনও অনিশ্চিত তাঁর পরিবারের সদস্যেরা।

৭৭১ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সম্ভাব্য চতুর্থ স্থানাধিকারী রৌনক জাহান রামনগর মাদ্রাসার ছাত্রী। তাঁর বাবা মহম্মদ রেজাউল হক কৃষক। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতা হার মানাতে পারেনি রৌনকের মেধাকেও। রৌনকও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সমস্যা সেই এক। পড়ার খরচ কোথা থেকে আসবে তা নিয়ে এখনই দুশ্চিন্তার ভাঁজ তার বাবার কপালে।

সুজাপুরের নয়মৌজা শুভানিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী সানিয়া পারভিন ৭৬৯ পেয়ে রাজ্যে পঞ্চম স্থান দখল করেছেন। তাঁর বাবা বরকত আলি পেশায় দর্জি। মা সারিকা খাতুনও সেলাইয়ের কাজ করেন। সারা মাসে পরিবারের উপার্জন মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে পাওয়া আর্থিক সাহায্য দিয়েই কিছু দিন সানিয়ার পড়ার খরচ চালিয়েছেন তাঁরা। তবে এই দম্পতি এখন ভেবে পাচ্ছেন না কী ভাবে মেয়ের চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করবেন!

৭৬৫ পেয়ে ওই একই মাদ্রাসার আশিকা খাতুন রাজ্যে নবম স্থান দখল করেছেন। তাঁর বাবা আব্দুর রহমান পেশায় দিনমজুর। মেধাবী মেয়ের পড়াশোনার খরচা কী ভাবে চালাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনিও।

প্রসঙ্গত, সোমবার প্রকাশিত হাই মাদ্রাসা পরীক্ষার মেধা তালিকায় প্রথম দশ জনের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন ১৫ জন পড়ুয়া। তার মধ্যে শুধু মালদহেরই দশ জন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

High Madrasah High Madrasah Result 2022 Maldah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE