সূচনা: ১ জানুয়ারী যাত্রী নিয়ে এনজেপি স্টেশনে পৌঁছল বন্দে ভারত ট্রেন। ছবি: স্বরূপ সরকার
ছোটখাটো কিছু যাত্রী-পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যা বাদ দিলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরুর পর্বটা নির্বিঘ্নেই কাটল।
রবিবার, নতুন বছরের শুরুর দিনেই ছিল বাংলার প্রথম বন্দে ভারতের বাণিজ্যিক যাত্রার সূচনা। এ দিন হাওড়া থেকে যথা সময়ে ছেড়ে মাত্র ২ মিনিট দেরিতে এনজেপি-তে ঢুকেছে বন্দে ভারত। এটুকু বিলম্ব নিয়ে কোনও ক্ষোভ ছিল না। তবে যাত্রাপথে বেশ কয়েকটি পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটেছে। প্রথম দিনে সেটুকু ছাড় দিলে বন্দে ভারতের যাত্রা আশাপ্রদই।
এ নিয়ে এ দিন এনজেপি স্টেশনে নেমেই বহু যাত্রীই রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এ দিন এই ট্রেনে এনজেপি আসেন নদিয়ার বাসিন্দা অভিজিৎ রায়। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম যাত্রায় বন্দে ভারতের সওয়ার হব বলেই উঠেছি। চা পেতে একটু দেরি হল। বাকি সব ঠিকই রয়েছে।’’ কলকাতার বাসিন্দা সৌম্য ঘোষ মজুমদার দার্জিলিং যাবেন বলে এ দিন বন্দে ভারতে এনজেপি এসেছেন। তিনি স্টেশনে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘খুব ভাল লাগল প্রথমবার ট্রেনটিতে চড়ে। ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছুই বলার নেই।’’
পরিচ্ছন্নতা ও ট্রেনের কর্মীদের ব্যবহার নিয়েও অনেকেই উচ্ছ্বসিত। কলকাতার ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা শিক্ষিকা মৌপর্ণা দত্ত মিত্র এবং তাঁর স্বামী অনুরাগ এসেছিলেন উত্তরবঙ্গে বেড়াতে। এ দিনই হাওড়ার বন্দে ভারত ধরেন তাঁরা। মৌপর্ণা বলেন, ‘‘পরিচ্ছন্নতা ভালই। তবে ইন্টারনেটে একটু সমস্যা হচ্ছিল। এটা তো অত্যন্ত উন্নত মানের ট্রেন। তাই ইন্টারনেট সমস্যা থাকলে তা অসুবিধার।’’ এই ট্রেনের ভিতরে ইন্টারনেট পরিষেবা মেলার কথা। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও এ দিন যাত্রাপথে তথ্য আদানপ্রদানে সমস্যায় পড়েছেন অনেক যাত্রীই।
হাওড়া থেকে চালু হয়ে এনজেপির দিকে প্রথম যাত্রায় জলের মেশিন গোলমাল করে বলে জানা গিয়েছে। রেল সূত্রে খবর, জল গরম হচ্ছিল না। পরে সেটি সারিয়ে যাত্রীদের চা দিতে একটু দেরি হয়। প্রাতরাশেও একটু দেরি হয় বলে যাত্রীদের অভিযোগ। তবে দুপুরের খাবার সঠিক সময়েই মিলেছে বলেই জানান তাঁরা।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ট্রেন চলার আগে সব কিছু খতিয়ে দেখা হয়। তবুও প্রথমবার ট্রেনটি চলছে। কী কী সমস্যা রয়েছে খতিয়ে দেখবে রেল।’’
অনেকেই এ দিন সেমি হাইস্পিড ট্রেনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতেই অনেকে ট্রেনে চড়েছেন। কিন্তু ৩ জানুয়ারির পর থেকে বুকিং ক্রমশই হাল্কা হতে শুরু করেছে বন্দে ভারতের। অনেকেই দাবি করছেন, আরও সময় নিয়ে কিছুদিন পরেও চালু করা যেত ট্রেনটি। যদিও, রেল সূত্রে দাবি, শীতের সময় যাত্রী কম থাকে। আগামী মার্চে পর্যটনের মরসুম আসতে আসতে পরিষেবায় কী কী সমস্যা বুঝেএগোনো যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy