Advertisement
E-Paper

কুয়াশায় বাড়ছে বিমান বাতিলের আশঙ্কা

দু’দিন ধরে কুয়াশার মুড়ে থাকছে শিলিগুড়ির সকাল বা গভীর রাত। আর তাতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কপালে। ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম বা আইএলএস বসানো হলেও দিল্লির ছাড়পত্র না মেলায় তা চালু হয়নি।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৫১
এ ভাবেই রোজ কুয়াশায় ঢাকছে শিলিগুড়ি। ছবি: নিজস্ব চিত্র

এ ভাবেই রোজ কুয়াশায় ঢাকছে শিলিগুড়ি। ছবি: নিজস্ব চিত্র

দু’দিন ধরে কুয়াশার মুড়ে থাকছে শিলিগুড়ির সকাল বা গভীর রাত। আর তাতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কপালে। ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম বা আইএলএস বসানো হলেও দিল্লির ছাড়পত্র না মেলায় তা চালু হয়নি। ফলে বিমান ওঠা-নামার ক্ষেত্রে দৃশ্যমানতা বাড়েনি। এখন কুয়াশার জন্য এক-দু’ঘণ্টা দেরিতে বিমান চলছে। বাগডোগরা বিমানবন্দর অফিসারদের আশঙ্কা, কুয়াশা আরও বাড়লে গত বছরের মতো বিমান বাতিলও করা হতে পারে।

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত বছর এই সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র বাগডোগরায় আবহাওয়া খারাপ থাকায় ৬ দিনে মোট ৪৮টি বিমান বাতিল হয়। কয়েক হাজার সাধারণ যাত্রী তো বটেই, দুর্ভোগে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদও। তাই এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) অফিসারেরা তাই চাইছেন, বাগডোগরায় যত দ্রুত আইএলএস চালু হবে, ততই মঙ্গল।

এই শীতে এখনও পর্যন্ত অবশ্য বড় সমস্যা হয়নি। এর প্রধান কারণ, শিলিগুড়িতে এত দিন সে ভাবে ঠান্ডা এবং কুয়াশা এ বারে পড়েনি। কিন্তু গত দু’দিন ধরে আবহাওয়ার পরিবর্তনে চিন্তায় পড়েছেন বাগডোগরা কর্তৃপক্ষ। এই দু’দিন রাতে তো বটেই, ভোরেও কুয়াশায় ঢেকে থাকছে শহর ও তার আশপাশ। এ দিন সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। অথচ বাগডোগরা থেকে প্রথম উড়ান সকাল ন’টা পঞ্চাশে। এই অবস্থায় এ দিন ১২টি বিমান দেরিতে ছেড়েছে। এ বছর শুধু ১৩ ডিসেম্বর তিনটি বিমান বাতিল হয়েছিল বাগডোগরা থেকে। তা-ও চেন্নাইয়ে ঝড়ঝঞ্ঝার জন্য। বাগডোগরার অফিসারেরা মনে করছে, আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে গত বছরের মতোই অবস্থা হবে।

এমন পরিস্থিতির কথা মেনে নিয়ে বিমানবন্দর অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘আইএলএস চালু হলে পরিস্থিতি বদলাবে। আমরা পরীক্ষার পর দিল্লিকে সব জানিয়ে দিয়েছি। আশা করছি, এ মাসেই ছাড়পত্র মিলবে।’’

এএআই অফিসারেরা জানিয়েছেন, বাগডোগরায় বিমান সংখ্যা বেড়েছে। যাত্রী সংখ্যাও বেড়েছে ২৯ শতাংশ। আগামী মার্চের মধ্যে এই সংখ্যা সাড়ে ১৩ লক্ষে পৌঁছাবে। যা গত কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড। এয়ার এশিয়া তাদের বিমান বাগডোগরা থেকে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অবস্থায় আইএলএস অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এই ব্যবস্থা বসলে ২১০০ মিটারের দৃশ্যমানতা ৪০০ মিটারে নেমে আসবে। তাতে খারাপ আবাহাওয়া তো বটেই, সন্ধ্যার পরেও বিমান চলাচল করতে পারবে। ইস্টার্ন হিমালয় ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের (এতোয়া) কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল জানান, বিমান বেশি বাতিল হলে পর্যটনে প্রভাব পড়ে। তাই বিমান চলাচল ঠিক থাকাটা উত্তরবঙ্গের পর্যটনের ক্ষেত্রে খুবই জরুরি।

flight cancel fog
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy