নির্মীয়মাণ নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের ভবন পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।ছবি: অমিত মোহান্ত।
নির্মীয়মাণ উত্তরবঙ্গ নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের কাজের গতিতে ক্ষুব্ধ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের হোসেনপুর এলাকায় নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের কাজ দেখতে যান রবীন্দ্রনাথবাবু। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক সঞ্জয় বসু ও অতিরিক্ত জেলাশাসক অমলকৃষ্ণ রায়।
নাট্যকেন্দ্রটির কাজ ঘুরে দেখে তাঁদের সামনেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং প্রোজেক্ট ম্যানেজারদের কাছে কাজে ঢিলেমির কারণ জানতে চান মন্ত্রী। নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের কাজ শেষ করতে ৫৫০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। দু’বছর পার হয়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির কিছুই কেন শেষ হয়নি তা জানতে চান তিনি।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং প্রকল্প ম্যানেজারেরা জানান, ভবন নির্মাণের কাজ হলেও মুক্তমঞ্চের কাজ বাকি। বিদ্যুত সংযোগ, আলো, ধ্বনি এবং নাটকের অভিনেতাদের থাকার ঘরে আসবাব তৈরির কাজের টেন্ডার হয়নি। তহবিলের সমস্যাই এর কারণ বলে জানতে পেরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী।
প্রশাসনের আধিকারিক এবং প্রজেক্ট ম্যানেজারকে বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ প্রকল্প রিপোর্ট না পেয়ে কেন কাজ শুরু করলেন ? ভবন নির্মাণ করে এখন অন্য কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য কতদিন বসে থাকবেন ? আর তহবিলের কথা কেন আসছে?’’ টাকার কোনও অভাব নেই জানিয়ে রবিবাবু বলেন, ‘‘ধোঁয়াশা রাখবেন না। আমারও কিছু কাজের অভিজ্ঞতা আছে।’’ ওই সমস্ত কাজের পার্ট-টেন্ডার সম্পূর্ণ করে দ্রত কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি। নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের ভবন তৈরিতে ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে দেওয়া সাত কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বাকি কাজের জন্য যত টাকা লাগবে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে আগামী এক বছরের মধ্যে এই নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে বলে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথবাবু।
এ দিন সকালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বরাদ্দ করা দু’কোটি টাকায় বালুরঘাটের খিদিরপুর শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির প্রকল্পের কাজও খতিয়ে দেখেন তিনি। এই কাজও বালুরঘাটের ওই একই ঠিকাদার সংস্থা করেছে। চুল্লি তৈরির কাজে গতি দেখেও রবীন্দ্রনাথবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে তিনি প্রকাশ্যেই অভিয়োগ করেন, ঠিকাদারদের একাংশ কাজ ধরে প্রকল্পগুলি স্থগিত করে রেখেছে।
এ দিন তিনি বুনিয়াদপুরে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শন করে দুপুর নাগাদ শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন রবীন্দ্রনাথবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy