টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির। —নিজস্ব চিত্র।
শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন শেষ হলেও ভোট পরবর্তী গন্ডগোলে রক্ত ঝরল দার্জিলিং লোকসভা এলাকায়। রবিবার রাতে মাটিগাড়ার খোলাইবকতরি এলাকায় বিজেপির বুথ সভাপতি নন্দকিশোর ঠাকুর-সহ আরও কয়েক জন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। তাতে গুরুতর জখম হয়েছেন এক মহিলা-সহ অন্তত ১০ জন। ওই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ শুরু করল পদ্ম শিবির। সোবার মাটিগাড়ায় ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে তারা। এমনকি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে মাটিগাড়া থানাও ঘেরাও করা হয়। সব মিলিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি এলাকায়।
সোমবার বেলা বাড়তেই মাটিগাড়ায় বন্ধ সফল করতে রাস্তায় নামেন বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকেরা। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বালাসন সেতুর কাছে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। এর ফলে জাতীয় সড়কের দু’দিকে শয়ে শয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই অবরোধ।
বিজেপির ডাকা বন্ধে সাড়া পড়েছে মাটিগাড়া বাজার এলাকায়। সিংহভাগ দোকান বন্ধ থাকলেও যানচলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক। অশান্তি এড়াতে মাটিগাড়া এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে বিজেপি নেতা এবং কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। তবে এই পদক্ষেপও যথেষ্ট বলে মনে করছে না পদ্ম শিবির। বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক মিঠুন প্রামাণিক বলেন, ‘‘তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বুথ সভাপতি-সহ অন্তত দশ জনকে আহত করেছে। ধারালো অস্ত্র, লাঠি দিতে আঘাত করা হয় কর্মীদের। বেশ কয়েক জনের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। এরই বিরুদ্ধে আমরা মাটিগাড়ায় ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছিলাম এবং ভাল সাড়া পেয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy