Advertisement
০৪ জুন ২০২৪
TMC

তৃণমূল-সমর্থিত সরকারি কর্মীরা এক ছাতার নীচে

জলপাইগুড়ি একাধিক সরকারি অফিসে এই রকম ভাবে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছিল সরকারি কর্মচারী সংগঠন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিল্টু সূত্রধর
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৪০
Share: Save:

বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সমর্থিত একাধিক সরকারি কর্মচারী সংগঠনকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হল। জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারীরা এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের থেকে লড়াই করবে।

রবিবার দলের রাজ্য নেতাদের নির্দেশে শহরের সমাজপাড়ার জেলা তৃণমূল কার্যালয় থেকে জলপাইগুড়ি জেলার কমিটির ঘোষণা করলেন তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। সেখানে ছিলেন বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মীরা। এদিকে, দলীয় কার্যালয় থেকে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের কমিটি ঘোষণা করাতে বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, সরকারি কর্মচারী হলেও তাঁরা দলের কর্মী।

তৃণমূল সমর্থিত, কিন্তু সংগঠনের নাম আলাদা। জলপাইগুড়ি একাধিক সরকারি অফিসে এই রকম ভাবে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছিল সরকারি কর্মচারী সংগঠন। কর্মচারীদের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল সংগঠনের নেতাদের। কারণ অনেক সময় একটি দাবি নিয়ে তৃণমূলের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলনে নামত। জেলা স্তরে দাবি কীভাবে পূরণ করা হবে তা নিয়ে সমস্যা দেখা দিত। এই কারণে এ বার একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মচারীদের দাবি তুলে ধরা হবে।

দলীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করতে সরকারি কর্মীদের এক ছাতায় তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধে কর্মীরা কী কী পেতে পারেন, কারা পাননি তা তুলে ধরবেন কর্মীরা। নির্বাচনের আগে তাঁদের দলের কাজে লাগাতে চায় দল। এ দিন ২৩ জনের জেলা কমিটির ঘোষণা করা হয়। ফেডারেশনের জেলা সভাপতি হলেন বিজয়কুমার ধর। ১৫ জনের কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়। কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, ‘‘রাজ্যের নির্দেশে জেলার সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে একটি সংগঠন করা হল। এখন থেকে এই সংগঠন কাজ করবে ও লড়াই করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Government workers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE