Advertisement
E-Paper

ওজন বৃদ্ধির ভয়ে মাখন খাচ্ছেন না? বিকল্প হিসাবে আর কী কী খেতে পারবেন

মাখন খাওয়ায় যদি নিষেধ থাকে, তা হলে এর বিকল্প কী কী হতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪ ১১:৫১
What are the healthy substitutes of butter

মাখনের বিকল্প কী কী হতে পারে জেনে নিন। ছবি: সংগৃহীত।

মাখন খেতে কে না ভালবাসে! পাউরুটি টোস্টের উপর পুরু করে মাখন লাগিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। গরম ভাতে মাখন যেন অমৃত। পরোটার এ পিঠে ও পিঠে মাখন মাখিয়ে নিলে তার স্বাদই হয় আলাদা। কিন্তু মাখন বেশি খেয়ে ফেললে আবার ওজন, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয় আছে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজন তাই মাখনের বদলে তার বিকল্প খোঁজারই চেষ্টা করেন। শরীরের ওজন বেশি হোক বা যথাযথ হোক, মাখন খেলে তার পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। তা ছাড়া মাখনের স্বাস্থ্যকর পরিপূরক কী কী, তা’ও জেনে রাখা ভাল।

মাখনে থাকে ৮০ শতাংশ ফ্যাট, ১৬-১৮ শতাংশ জল এবং ২ শতাংশ নুন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভাল (এইচডিএল) ও খারাপ (এলডিএল) দু’ধরনের কোলেস্টেরলের পরিমাণই শরীরে বাড়িয়ে দেয় মাখন। তাই হার্টের অসুখ, ডায়াবিটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগছেন, এমন ব্যক্তিরা মাখন খাবেন চিকিৎসকের পরামর্শমতো। যদি মাখন একান্তই খেতে না পারেন, তা হলে এর বিকল্প কী কী হতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আমন্ড বাটার

কাঠবাদাম থেকে তৈরি হওয়া মাখনে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং প্রোটিন। এই মাখন শরীরের জন্যও ভাল। ওজন বাড়তে দেয় না। স্যুপ, স্মুদিতেও দিতে পারেন এটি।

পিনাট বাটার

রোস্টেড পিনাট থেকে এই মাখন তৈরি হয়। এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ সাধারণ মাখনের চেয়ে অনেক কম। এ হল ভিটামিন ই, ডি, বি ও ম্যাঙ্গানিজের ভাল উৎস। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমাতে সাহায্য করে এটি।

অ্যাভোক্যাডো

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে অ্যাভোক্যাডোতে। স্যালাডে বা স্মুদিতে দিয়ে খেতে পারেন। ওজন তো বাড়েই না, কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

পাকা কলা

কেক, প্যানকেক বা মাফিন বানাতে মাখনের বদলে পাকা কলা চটকে দিতে পারেন। এটিও মাখনের খুব ভাল বিকল্প হতে পারে। যে কোনও বেকড খাবারে পাকা কলা দিলে তার স্বাদও বজায় থাকে এবং পুষ্টিও।

নারকেল তেল

মাখন দিয়ে যে রান্নাগুলি করবেন ভাবছেন, সেখানে নারকেল তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নারকেল তেলে উপকারী ফ্যাট থাকে, যা হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। বেকড রান্নায় ব্যবহার করলে স্বাদও খুব একটা খারাপ হয় না।

অলিভ তেল

এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ একেবারে কম। ফলে ওজন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই তেল গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের বয়স ধরে রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। অলিভ তেল বিভিন্ন রকম পাওয়া যায় বাজারে, তাই রান্নায় কী ধরনের অলিভ তেল ব্যবহার করবেন, সেটা পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।

healthy food Diet Healthy Diet
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy