কলের ফুটন্ত জলে স্নান করছেন? ছবি: সংগৃহীত।
এই গরমে গিজ়ারের নাম মুখে নেওয়াই অপরাধ! ট্যাঙ্কের জলে স্নান করতে গেলেই টের পাওয়া যাচ্ছে রোদের তেজ। সারা দিন হাড়ভাঙা খাটনির পর গরম জলে স্নান করলে আরাম লাগে ঠিকই। কিন্তু গরমকালে বোধ হয় কেউই তেমন জলে স্নান করতে চান না। উল্টে গরমে দেহের জ্বালা-পোড়া ভাব কমাতে ঠান্ডা জলে স্নান করা যেতে পারে। এ দিকে, সকাল ১০টা বাজতে না বাজতেই কল থেকে ফুটন্ত জল পড়তে শুরু করছে। বেলা গড়িয়ে বিকেল-সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সেই জলে হাত দেওয়ার উপায় থাকে না। গরমে শান্তি পেতে বরফগলা জলে তো স্নান করা যাবে না। তা হলে কী করবেন?
১) ফুটন্ত গরম জলে স্নান করলে ত্বকের নিজস্ব সেবাম নষ্ট হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। স্পর্শকাতর ত্বক পুড়ে যেতে পারে। পিগমেন্টেশনের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে এই অভ্যাসে। গরম জলে স্নান করলে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়লে খুশকির উপদ্রব বেড়ে যেতে পারে।
২) এই গরম জল অসাবধানে চোখ-নাকে কিংবা কানের মধ্যে ঢুকে গেলেও বিপদ। অতিরিক্ত গরম জল ত্বকের জন্য তো বটেই, এই সব স্পর্শকাতর অংশের জন্যও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
৩) গোপনাঙ্গে অতিরিক্ত গরম জল লাগলেও সমস্যা হতে পারে। শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশগুলিতে গরম জল লাগলে পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ওই সব অংশের ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়াও অস্বাভাবিক নয়।
এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?
ট্যাঙ্কের জলে সরাসরি রোদ পড়ার আগে স্নান করে নেওয়া যেতে পারে। যদি সম্ভব না হয়, স্নান করার ঘণ্টা দুয়েক আগে বালতিতে জল ভরে রেখে দিতে পারেন। তা-ও যদি সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে কল থেকে বালতির ফুটন্ত জলের সঙ্গে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জল খানিকটা মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy