চার লেনের সড়ক তৈরির জন্য রাস্তার দু’দিক সে কবেই খুঁড়ে দিয়েছে। সে কারণে সকাল-রাত সব সময়েই যানজট লেগেই থাকে। যানজট মানেই ধীর গতিতে বাস চালাতে হয়। বুধবার সকালেও বাগডোগরা থেকে যানজট ছিল। বাসের গতি কম ছিল। গোসাইপুর সেতুর সামনে যাত্রী তোলার পরে বাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটারেরও কম। হঠাৎই হর্নের একটানা শব্দ কানে আসে। সামনে থেকে একটি ট্রাককে সোজাসুজি আসতে দেখে চমকে যাই। দু’তিন বার চোখের পলক পড়তেই দেখি ট্রাকটি ক্রমশ সামনে এগিয়ে আসছে, বুঝতেই পারি তীব্র গতিতে সেটি ছুটে আসছে। হঠাৎ দেখি ট্রাকটি একেবারে আমার সামনে। চোখ বুজে ফেললাম। বিকট শব্দ শুনলাম। হঠাৎই সম্বিৎ ফিরে এল। দেখলাম বাসের মুখ ঘুরে গিয়েছে বাঁ দিকে। সামনের কাঁচ, দেওয়াল কিছু নেই। ইঞ্জিনে দাউ দাউ আগুন জ্বলছে। যাত্রীদের কেউ মেঝেতে লুটোচ্ছেন কেউ বা রক্তাক্ত অবস্থায় বসে। আগুন পেট্রোল ট্যাঙ্কে পৌঁছে গেলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। উদ্ধারকারীদের বলি জল ছিটিয়ে হবে না, ইঞ্জিনের ব্যাটারির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তা শুনে কয়েকজন আগুন নেভান। আরও বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy