Advertisement
E-Paper

গ্রেটার নিয়ে কোনও ঝুঁকি নয়, নিরাপত্তা জেলা জুড়ে

গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন (জিসিপিএ) ভারত ভুক্তি চুক্তি দিবসের অনুষ্ঠান চকচকায় না করার আশ্বাস দিলেও পুলিশ কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। শনিবার সকাল থেকেই গোটা কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রকে নিরাপত্তার চাদড়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৬ ০২:৪২
কোচবিহার-বক্সিরহাট সড়কে নজরদারি। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।

কোচবিহার-বক্সিরহাট সড়কে নজরদারি। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।

গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন (জিসিপিএ) ভারত ভুক্তি চুক্তি দিবসের অনুষ্ঠান চকচকায় না করার আশ্বাস দিলেও পুলিশ কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। শনিবার সকাল থেকেই গোটা কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রকে নিরাপত্তার চাদড়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

অসম থেকে যাতায়াতের রাস্তায় একাধিক জায়গায় পুলিশ চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। চকচকা যাওয়ার সমস্ত রাস্তাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নারায়ণী সেনার খোঁজে বাস, ছোট গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সাধারণ পোশাকে থাকা কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চকচকার মাঠে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য পুলিশের ডিআইজি রাজশ যাদব এদিন ফের কোচবিহারে যান। তিনি বলেন, “আমরা সব দিকে নজর রাখছি। কেউ আইন ভাঙার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আজ, রবিবার কোচবহারের শিল্পতালুক চকচকার মাঠে ভারত ভুক্তি চুক্তি দিবস পালনে অনুষ্ঠান করার কথা ঘোষণা করেছিল গ্রেটার। সেখানে গ্রেটার নেতা অনন্ত রায় (যিনি সংগঠনের অন্দরে মহারাজ নামে পরিচিত) এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াকে অভিবাদন জানানোর কথা ছিল নারায়ণী সেনার। প্রশাসনের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত দশ বছরের বেশি সময় ধরে গ্রেটারের আন্দোলনে একাধিক বার কোচবিহার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ২০০৫ সালে বংশীবদন বর্মনের নেতৃতবে অনশন আন্দোলনে তিন পুলিশ কর্মী সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। কিছুদিন আগে নিউ কোচবিহার স্টেশনেও গ্রেটারের অবরোধ ভাঙতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়।

চকচকা শিল্পতালুকের পাশ দিয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক চলে গিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি ওই পথে অসম যাওয়া যায়। ওই পথে অসম সীমান্তের জোড়াই মোড় ও বক্সিরহাটে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া ওই সড়কের পুন্ডিবাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শহরে ঢোকার দুটি রাস্তা ঘুঘুমারি ও খাগড়াবাড়িতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কোচবিহার শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে চকচকা। চকচকার অন্যদিকে খাপাইডাঙা বাজার হয়ে কালজানি নদী পেরিয়ে তুফানগঞ্জ হয়ে অসম যাওয়্যা যায়। চকচকার ওই রাস্তার দুই পাশে একদিকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া এবং ওই পাশে অনন্ত রায়ের বাড়ি বড়গিলায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। যে মাঠে ওই সভা হওয়ার কথা সেখানে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

security
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy