Advertisement
E-Paper

জলসঙ্কট মেটাতে পথে বিএসএফ, ছাত্রেরাও

ভয়াল গ্রীষ্ম যত দিন যাচ্ছে ততই যেন দাপট বাড়াচ্ছে। তার জেরেই জলস্তর হু হু করে নেমে তীব্র জল সঙ্কটের কবলে দক্ষিণ দিনাজপুরের একাংশ। পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তার ধারে বসানো পানীয় জলের নলকূপ থেকে জল উঠছে না। এক বালতি জলের জন্য হাহাকার উঠেছে। বিডিও থেকে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের কাছে বাসিন্দাদের তরফে দাবি ডেপুটেশন দিয়ে আশ্বাস মিললেও অকেজো নলকূপ সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৬ ০৩:০০
পাহাড়পুরে জল বিলি করছে বিএসএফ। (ডান দিকে) কুরমালিতে পথচারিদের সরবত বিলি করছেন ছাত্রেরা। ছবি: অমিত মোহান্ত

পাহাড়পুরে জল বিলি করছে বিএসএফ। (ডান দিকে) কুরমালিতে পথচারিদের সরবত বিলি করছেন ছাত্রেরা। ছবি: অমিত মোহান্ত

ভয়াল গ্রীষ্ম যত দিন যাচ্ছে ততই যেন দাপট বাড়াচ্ছে। তার জেরেই জলস্তর হু হু করে নেমে তীব্র জল সঙ্কটের কবলে দক্ষিণ দিনাজপুরের একাংশ।

পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তার ধারে বসানো পানীয় জলের নলকূপ থেকে জল উঠছে না। এক বালতি জলের জন্য হাহাকার উঠেছে। বিডিও থেকে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের কাছে বাসিন্দাদের তরফে দাবি ডেপুটেশন দিয়ে আশ্বাস মিললেও অকেজো নলকূপ সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে খরতাপে ক্লান্ত পথচারী, বাসযাত্রীদের তৃষ্ণা মেটাতে পানীয় জল ও ঠান্ডা শরবত সরবরাহে নামলেন একদল কলেজ পড়ুয়া। পাশাপাশি তীব্র জল সঙ্কটে পড়া তপন ব্লকের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জলকষ্ট মেটাতে এগিয়ে এলেন বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী) জওয়ানেরাও।

তপন ব্লকের মালঞ্চা অঞ্চলের পাহাড়পুর, সন্ধ্যাপুকুর, অর্জুনপুর, অভিরামপুর, হরিবংশীপুর এলাকা গুলিতে এদিন স্থানীয় ডাকুহারা বিএসএফ ফাঁড়ি থেকে ট্যাঙ্কারে করে পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ওই সীমান্তবাসীদের রোজ পানীয় জল সরবরাহ করতে উদ্যোগী হয়েছে ১১৪ নম্বর বিএসএফ কোম্পানি। ওই অঞ্চলে জলস্তর প্রায় ৮০ ফুট নীচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ থেকে জল উঠছে না। বাসিন্দারা বাধ্য হচ্ছেন পুকুরের জল খেতে।

ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের মতো ফাঁড়ির বিএসএফ জওয়ানেরাও জল সঙ্কটে ভুগছেন। ফলে পতিরাম সদর ক্যাম্প থেকে ওই ডাকুহারা ফাঁড়ির জন্য রোজ ৬০০০ গ্যালন ভর্তি পাণীয় জলের ট্যাঙ্কার আসছে। দুপুর ১২টা নাগাদ জলের ট্যাঙ্কার পৌঁছতেই জওয়ানেরা আগে গ্রাম গুলিতে ঘুরে জল সরবরাহ করছেন। এ দিন পাহাড়পুর এলাকায় বিএসএফের ট্যাঙ্কার পৌঁছতেই বাসিন্দাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। গ্রামের বধূ অঞ্জলী কর্মকার, সন্ধ্যা বর্মন, তুলসী বর্মনেরা বলেন, ‘‘গরমে নলকূপ দিয়ে জল ওঠেনা। পঞ্চায়েতে আবেদন করেও লাভ হয়নি।’’

জলসঙ্কট মেটাতে পথে নেমেছেন ছাত্রেরাও। সকাল থেকে বালুরঘাট-হিলি সড়কে কুরমাইল এলাকায় স্থানীয় বিএড কলেজের পড়ুয়া মধুসূদন মন্ডলের নেতৃত্বে একদল কলেজ ছাত্র রাস্তায় দাঁড়িয়ে পথচারি এবং বাস ও ছোট গাড়ির যাত্রীদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করেন। বরফ মেশানো সরবতের গ্লাসও তৃষ্ণার্থ মানুষের মুখে তুলে দেন তারা। মধুসূদন জানান, তাপপ্রবাহ না কমা অবধি তাঁরা এ ভাবে জলকষ্টে পড়া পথচারী ও যাত্রীদের বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করে যাবেন।

BSF water crisis water distributed Balurghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy