অজয় এডওয়ার্ডস। —ফাইল চিত্র।
কালিম্পঙের দু’টি নদী থেকে বেআইনি ভাবে স্থানীয় বিধায়কের সংস্থার তরফে বালি, পাথর তোলা হচ্ছে বলে কয়েক দিন আগে অভিযোগ করেছিলেন বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তা। এ বার কালিম্পঙের একাংশে বেআইনি বালি, পাথর তোলা নিয়ে সরব হলেন হামরো পার্টির সভাপতি তথা জিটিএ সদস্য অজয় এডওয়ার্ড। গত শনিবার তিনি কালিম্পঙের ইচ্ছেগাঁও এলাকায় যান। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন। অজয়ের দাবি, এলাকার বেশ কিছু পাহাড়ের ধারে ধারে মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাসিন্দারা তা হামরো পার্টির প্রতিনিধিদের তা ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। টানা বালি, পাথর তোলা চলতে থাকলে কালিম্পঙের একাংশে ধসের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে অজয় জানান।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কালিম্পঙের দু’টি নদীতে বালি, পাথর তোলার বরাত রয়েছে বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচার দু’টি সংস্থার নামে। সম্প্রতি রাজু বিস্তা কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। চিঠিতে অবশ্য বিস্তা বিধায়কের নাম চিঠিতে না দিলেও বিধায়কের সংস্থার নামের সমর্থনে নথিপত্র দেন। একই ভাবে হামরো পার্টির সভাপতিও বিধায়কের নাম না বলে ‘একজন ব্যবসায়ী’ বলে উল্লেখ করেছেন।
অজয় বলেন, ‘‘কালিম্পঙের একাংশে যে ভাবে বালি, পাথর তোলা হচ্ছে, তা ভয়ানক দিকে যাচ্ছে। মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে বসেছে। যে ব্যবসায়ী এ কাজে জড়িত তাঁকেও ভাবতে হবে।’’ তিনি জানান, রাজ্য সরকারকে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। সরকারি স্তরে মৌখিক ভাবে অভিযোগও জানিয়েছেন অজয়। লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে হামরো পার্টির তরফে জানানো হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ২০১৮ সাল থেকে কালিম্পঙের রেলি এবং পালা নদী ঘিরে বালি, পাথর তোলা হচ্ছে। ২০২৬ সাল অবধি অনুমোদন সরকারের তরফে রয়েছে। গত বছর জুন মাসে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন মন্ত্রকের তরফে কালিম্পঙে সমীক্ষা হয়। সেখানে রেলি এবং পালা নদী ঘিরে বেআইনি কারবারের অভিযোগ করা হয়। স্পর্শকাতর পাহাড়ি এলাকায় নিয়ম ভেঙে নদী খনন চলছে বলে অভিযোগ।
সরকারি অনুমোদনে শুধুমাত্র শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর কথা রয়েছে। সেখানে মেশিন, ক্রাশার ব্যবহার না করার কথা বলা হয়েছে। দু’টি বরাত পাওয়া সংস্থার মালিকপক্ষ হিসাবে বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচার নাম রয়েছে। অভিযোগ, দুটি নদীর ধারেই ক্রাশার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও কালিম্পঙের জেলাশাসক বালা সুব্রহ্মণ্যন টি বলেছেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। বিষয়টি দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy