Advertisement
১১ মে ২০২৪

শুল্ককর্তাদের ‘হেনস্থা’, অধরা হোটেল মালিক

কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের অফিসারদের গাড়ি আটকে হেনস্থার মামলা দায়ের হয়েছে এক হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। কিন্তু তার পরেও তৃণমূলের নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৭
Share: Save:

কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের অফিসারদের গাড়ি আটকে হেনস্থার মামলা দায়ের হয়েছে এক হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। কিন্তু তার পরেও তৃণমূলের নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।

বর্ষবরণের আগের রাতে শিলিগুড়ির এনজেপি থানার নেতাজি মোড় লাগোয়া এলাকার ঘটনা। সূত্রের খবর, গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর এনজেপির ওই হোটেলে কেন্দ্রীয় শুল্ক এবং সার্ভিস ট্যাক্স দফতরের দুই ইন্সপেক্টর নিয়ম মাফিক নথিপত্র পরীক্ষা করতে যান। সেখানে কিছু নথিপত্রে গরমিল ধরায় গোলমাল শুরু হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দফতরের জলপাইগুড়ির ডিভিশনের সহকারি কমিশনার অজয় লুমাকু সেখানে যান। তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।

অফিসারদের ঘিরে ধাক্কাধাক্কি করে নথিপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গাড়ি ঘিরে ধরে নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পর দিন অফিসারেরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হোটেল মালিক বিশ্বনাথ সাহা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘সাদা পোশাকের দু’জন এসে নথি পরীক্ষা করতে চায়। কর্মীরা পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে, তাঁরা এক জনকে ধাক্কাও দেন। আরেক অফিসার এসে চিৎকার করতে থাকেন। তখন এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করেন। কাউকে মারধর, হেনস্থা কিছুই করা হয়নি। ভুয়ো অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’

কিন্তু, অভিযোগ বিশ্বনাথবাবু স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলেই সরকারি অফিসারদের হেনস্থা করার পরেও তাঁকে ধরা হয়নি। দফতরের সহকারী কমিশনার অজয় লুমাকু বলেছেন, ‘‘সবই লিখিত ভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছে।’’ শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেছেন, ‘‘তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।’’ পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, দু’দিন আগেই হোটেলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই এলাকার তৃণমূলের হকার সংগঠনের নেতা প্রসেনজিৎ রায় বলেন, ‘‘ওই হোটেল মালিকে চিনি। মামলার ব্যাপারে কিছু জানি না। আইন ভাঙলে তাঁকে আড়াল করার প্রশ্নই নেই।’’

এনজেপি স্টেশন থেকে তরাই স্কুলের দিকে যাওয়ার মেন রোডের ধারে দীর্ঘ দিন ধরে হোটেলটি রয়েছে। বর্ষবরণের আগে শুল্ক দফতরের তরফে শহরের হোটেল, পানশালাগুলি নিয়ম মেনে চলছে কি না, তার খোঁজ নিতে নথিপত্র পরীক্ষার কাজ শুরু হয়। সেই মতো ৩০ ডিসেম্বর এনজেপি এলাকায় কয়েকটি হোটেলে বিকেল থেকে অফিসারেরা যান। ওই অফিসারেরা জানান, ২০১৩ সালের পর থেকে নথিপত্র পরীক্ষায় কিছু গরমিল ধরা পড়ে। এর পরেই ওই অফিসারদের ঘিরে ধরে ধাক্কাধাক্কি, হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tax Officer Hotel Owner
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE