Advertisement
০৫ মে ২০২৪

অ্যাকাউন্ট নেই, মজুরি নিয়ে উদ্বেগ

দোরগোড়ায় অপেক্ষা করছে অনেক বাগানের আরও এক পক্ষের মজুরি প্রদান৷ অথচ, এখনও প্রচুর চা শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা বাকি৷ এই পরিস্থিতিতে চা শ্রমিকদের পরবর্তী মজুরি প্রদান নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় জলপাইগুড়ির বিভিন্ন বাগান কর্তৃপক্ষ৷ সমস্যা সামাল দিতে পুরানো পদ্ধতিতেই মজুরি প্রদান চালু রাখার দাবিতে সরব বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:২৮
Share: Save:

দোরগোড়ায় অপেক্ষা করছে অনেক বাগানের আরও এক পক্ষের মজুরি প্রদান৷ অথচ, এখনও প্রচুর চা শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা বাকি৷ এই পরিস্থিতিতে চা শ্রমিকদের পরবর্তী মজুরি প্রদান নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় জলপাইগুড়ির বিভিন্ন বাগান কর্তৃপক্ষ৷ সমস্যা সামাল দিতে পুরানো পদ্ধতিতেই মজুরি প্রদান চালু রাখার দাবিতে সরব বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন৷

নোট বাতিলের পরে কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বাঁধা হতেই সমস্যায় পড়ে উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলি৷ প্রায় সব বাগানেই এক পক্ষের মজুরি বকেয়া হয়ে যাওয়ার পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে দুই পক্ষের মজুরির টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তোলার ক্ষেত্রে বাগানগুলিকে ছাড় দেয়৷ তবে বাগান মালিকদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে প্রশাসনের কর্তারা সাফ জানিয়ে দেন, দুই পক্ষের পর পরবর্তী পক্ষের মজুরি শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই জমা করতে হবে বাগান কর্তৃপক্ষকে৷ প্রশাসনের নির্দেশেই এরপর বিভিন্ন বাগানে রীতিমতো ক্যাম্প করে শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ শুরু হয়৷ তারপরও প্রচুর বাগান শ্রমিকেরই এখনও পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট খোলা বাকি৷ ফলে শ্রমিকদের পরবর্তী পক্ষের মজুরি নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় বাগান মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন৷

জলপাইগুড়িতে ডুয়ার্স ব্র্যা়ঞ্চ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে ৫৫টি চা বাগান রয়েছে৷ এক লক্ষ তেরো হাজার শ্রমিক কাজ করেন৷ কিন্তু সংগঠন সূত্রের খবর, তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৭ হাজারের কাছাকাছি শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা বাকি রয়েছে৷ আইটিপিএ-র অধীনে থাকা কুড়িটি বাগানে ২২ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন৷ কিন্তু সেই বাগানগুলিতেও ছয় হাজারের বেশি শ্রমিকের এখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালা বাকি৷ তবে টি অ্যাসোসিয়েশেন অফ ইন্ডিয়ার সম্পাদক রাম অবতার শর্মা জানিয়েছেন, জলপাইগুড়িতে থাকা তাঁদের তেরোটি চা বাগানের মধ্যে দু’টি বাদ দিয়ে বাকিগুলিতে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ হয়ে গিয়েছে৷

তবে জলপাইগুড়ি লিড ব্যাঙ্কের ম্যানেজার গৌর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে সব বাগানের শ্রমিকদের এখনও পর্যন্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়নি, তাদের তা দ্রুত খোলার চেষ্টা চলছে৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

wages bank account tea garden worker
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE