Advertisement
E-Paper

মদনমোহন মন্দিরে ঢল নববর্ষে

রাজা নেই। রাজপাটও নেই। কিন্তু রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন নিয়ে কোচবিহারবাসীর আবেগে কোনও ঘাটতি নেই।প্রতিবছর নববর্ষের দিন পুজো দিতে ভক্তদের ঢল নামে শতবর্ষ প্রাচীন মদনমোহন মন্দিরে। শনিবারও পড়েছিল দীর্ঘ লাইন। য সামলাতে হিমসিম খেতে হয় দেবোত্তর কর্মীদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০৪
প্রতীক্ষা: মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেওয়ার লাইন। নিজস্ব চিত্র

প্রতীক্ষা: মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেওয়ার লাইন। নিজস্ব চিত্র

রাজা নেই। রাজপাটও নেই। কিন্তু রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন নিয়ে কোচবিহারবাসীর আবেগে কোনও ঘাটতি নেই।

প্রতিবছর নববর্ষের দিন পুজো দিতে ভক্তদের ঢল নামে শতবর্ষ প্রাচীন মদনমোহন মন্দিরে। শনিবারও পড়েছিল দীর্ঘ লাইন। য সামলাতে হিমসিম খেতে হয় দেবোত্তর কর্মীদের। এ দিন দিনভর মন্দিরের বারান্দায় রাখা হয় রাজ পরিবারের কুলদেবতার বিগ্রহ।

কোচবিহার রাজপরিবারের দুয়ারবক্সি অমিয় দেববক্সি বলেন, “মদনমোহনের বিগ্রহ প্রণাম করেই নতুন বছর শুরু করতে চান অনেক বাসিন্দা।’’ দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত সকাল ন’টা নাগাদ মদনমোহনের বিগ্রহ স্নান করানোই প্রচলিত রীতি। কিন্তু নববর্ষে তা বদলে যায়। সেই প্রথা মেনে এবারও সকাল সাড়ে ৬টায় বিগ্রহ স্নান করানো হয়। গঙ্গাজল, ডাবের জল, মন্দিরের কুয়োর জল ছাড়াও স্নানের উপকরণের তালিকায় ছিল চিনি, ঘি, মধু, দুধের মতো নানা সামগ্রী। স্নানের পর মন্দিরের বারান্দায় সিংহাসন এনে বিগ্রহ রাখা হয়। দুপুর পর্যন্ত বিগ্রহ দর্শন করার জন্য ভক্তদের ভিড় ছিল নজরকাড়া। পুজোর ভোগের কুপন সংগ্রহ করতেও ভিড় করেন ভক্তরা।

ভিড়ের কথা মাথায় রেখে মন্দিরের সামনে সামিয়ানা টাঙানো হয়। লাইনে ধাক্কধাক্কি এড়াতে করা হয়েছিল বাঁশের ব্যারিকেডও। ভক্তদের অনেকের দাবি, সামিয়ানা আরও বড় এলাকাজুড়ে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। পরেরবার ওই বিষয়টি ভেবে দেখার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন দেবোত্তর কর্তৃপক্ষ।

Poila Baisakh Temple
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy