Advertisement
০৪ মে ২০২৪

উপ পুরপ্রধানের পদ চান নির্দলেরা

ভাইস চেয়ারম্যানের পদ পেলে তৃণমূলে যোগদান করবেন কোচবিহার পুরসভার দুই নির্দল কাউন্সিলর। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে সে কথা জানিয়ে দিলেন দুজনেই। ওই নির্দল কাউন্সিলর গৌতম বড়ুয়া ও শম্পা রায় দাবি করেছেন, শাসক দলের পক্ষ থেকে তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। সেই আবেদন পাওয়ার পরই তাঁরা আলোচনায় বসেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৫ ০২:৩৪
Share: Save:

ভাইস চেয়ারম্যানের পদ পেলে তৃণমূলে যোগদান করবেন কোচবিহার পুরসভার দুই নির্দল কাউন্সিলর। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে সে কথা জানিয়ে দিলেন দুজনেই।

ওই নির্দল কাউন্সিলর গৌতম বড়ুয়া ও শম্পা রায় দাবি করেছেন, শাসক দলের পক্ষ থেকে তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। সেই আবেদন পাওয়ার পরই তাঁরা আলোচনায় বসেন। কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ভাইস চেয়ারম্যান পদ পেলেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে মত দিয়েছেন বলে তাঁরা দাবি করেন। দুজনে একযোগে বলেন, ‘‘আমরা ভাইস চেয়ারম্যান পদ পেলে দুজনে আলোচনা করে কে তা নেবেন সেটা ঠিক করে নেব।’’ কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ওই দুই নির্দল কাউন্সিলরকে দলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। ওঁরা এখনও কোনও দাবি আমার কাছে জানায়নি। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

২০ আসনের কোচবিহার পুরসভায় তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ১০টি আসন। বামেদের পক্ষে গিয়েছে ৮টি আসন। বাকি ২টি আসন নির্দল জয়ী হয়েছে। তৃণমূলের বোর্ড এখন ওই দুই নির্দল কাউন্সিলরের উপরে নির্ভর করছে। ভোটের আগে ওই দুই জন তৃণমূলের সঙ্গেই ছিলেন। টিকিট না পেয়ে ১৪ নম্বর থেকে ভোটে দাঁড়ান শম্পা রায়। ১৫ নম্বর থেকে ভোটে দাঁড়ান গৌতম বড়ুয়া। নির্দল হয়ে দাঁড়ানোয় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে মিটিং করে ওই দুজনকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। তবে ভোটে তৃণমূল ও বাম প্রার্থীকে হারিয়ে দুটি আসনেই জয়ী হন সেই নির্দলরা। এ দিকে তৃণমূলের ঝুলিতেও আসন সংখ্যা জোটে ১০। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে শাসক দল ফের ওই নির্দলের দ্বারস্থ হয়। এ বারে ঘরে ফেরার আর্জি জানানো হয় তাঁদের কাছে। তৃণমূলের একটা অংশের দাবি, গোষ্ঠী রাজনীতির কারণে ওই দু’জন শাসক দলের টিকিট পায়নি। কিন্তু শাসক দলের একটি অংশ তাঁদের সঙ্গেই বরাবর ছিল। তাই স্বাভাবিক ভাবেই নির্দল দু’জনের তৃণমূলে না গিয়ে কোনও উপায় নেই।

তবে গৌতমবাবু এ দিন দাবি করেন, গত রবিবার তাঁর কী করা উচিত তা নিয়ে নাগরিক কনভেনশন করেন তিনি। তাতে বেশির ভাগ মানুষ তাঁকে শাসক দলের পক্ষে থাকার জন্যই আর্জি জানান। সেক্ষেত্রে এলাকার উন্নয়ন হবে বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, “এ কথা সত্যি শাসক দলের সঙ্গে থাকলে এলাকার উন্নয়ন হয়। না থাকলে হয় না। তাই মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভাইস চেয়ারম্যান পদ যদি আমাদের দেওয়া হয় তা হলে সরাসরি তৃণমূলে যোগ দেব। না হলে নয়।” পদের জন্য বহিষ্কার হয়েও দলে ফেরার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি যুক্তি দেন, ভাইস চেয়ারম্যান হলে এলাকার উন্নয়ন অনেক বেশি করা যায়। সে কারণেই ভাইস চেয়ারম্যানের পদের দাবি করেছেন তাঁরা। ওই পদ না পেলেও গৌতমবাবু শাসক দলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে নির্দল হিসেবেই তিনি ওই সমর্থন জানাবেন। ১৪ নম্বরের কাউন্সিলর শম্পাদেবী অবশ্য জানান, ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যাপারে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই পদ না পেলে তিনি কি করবেন তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, “আগামী সাত দিনের মধ্যে নাগরিক কনভেনশন করে পরের সিদ্ধান্ত নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE