Advertisement
০৪ মে ২০২৪

পর্যটনে আরও নজর চান বাসিন্দারা

প্রথম পাঁচ বছর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। এখন পর্যটনমন্ত্রী। আগের আমলের কাজের ধারাবাহিকতা রাখা ও বর্তমান দফতরের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় তিনি কী করতে চান, তা নিয়ে আনন্দবাজারের পাঠকদের সঙ্গে কথা বললেন মন্ত্রী গৌতম দেব। সংযোজনায় কিশোর সাহা। আমরা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকা কলেজে পড়ে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন কলেজ, তার লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনার অধিকার আমাদের নেই। আমরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারি, সেটা কিছু করা যায়?

কোন পথে! মানবাজারের বাসস্ট্যান্ডের সামনে বেহাল রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র

কোন পথে! মানবাজারের বাসস্ট্যান্ডের সামনে বেহাল রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪৮
Share: Save:

• আমরা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকা কলেজে পড়ে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন কলেজ, তার লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনার অধিকার আমাদের নেই। আমরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারি, সেটা কিছু করা যায়?

পারমিতা সরকার, বেসরকারি আইন কলেজের ছাত্রী

মন্ত্রী: আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। ওঁদের নিয়মকানুন রয়েছে। তাতে কোনও ভাবে বাইরের কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বইয়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা দেখা হবে। শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে টেক্সট বুক লাইব্রেরির কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে সাধারণ বিভাগ, আইন, মেডিক্যাল, ম্যানেজমেন্টের বই থাকবে। কাজটা যাতে তাড়াতাড়ি হয়, সেটা দেখব।

• দাগাপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে এডুকেশনাল হাবে ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, আইন কলেজ, বহু স্কুল তৈরি হয়েছে। কিন্তু রাস্তাঘাট, পরিবহণ, নিকাশি ভাল নয়। এই নিয়ে সরকারের কী ভাবনা?

সৌমাইয়া পারভিন, আইন কলেজের ছাত্রী

মন্ত্রী: দাগাপুর এলাকার রাস্তা, নিকাশির জন্য ভাবা হয়েছে। অন্তত ১০ কোটি টাকা প্রয়োজন। দুই লেনের রাস্তা করা দরকার। সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। আমি আগের দফতরে থাকলে নিজেই উদ্যোগী হয়ে করতে পারতাম। বিভাগীয় মন্ত্রী, এসজেডিএ-র সঙ্গে কথা বলব। কাজ তো করতেই হবে।

•পর্যটন কোর্স নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ উত্তরবঙ্গে খুব কম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এগিয়ে আসছে না কেন? সেই রকম কোনও চিন্তাভাবনা?

সুপ্রিম শর্মা, মাস কমিউনিকেশনের ছাত্রী

মন্ত্রী: গত পাঁচ বছরে উত্তরবঙ্গে নতুন ১৭টি কলেজ হয়েছে। কোচবিহার, গৌড়বঙ্গ এবং রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। পর্যটন দফতর থেকে দুর্গাপুর, গজলডোবা ও দিঘা বা জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইন্সস্টিটিউট হচ্ছে। সরকার সেগুলি চালাবে। অন্য কলেজে বিভিন্ন সিফটে পড়াশোনা চালু করে পর্যটনের মতো কোর্স পড়ানোর ভাবনা রয়েছে। কার্শিয়াঙে প্রেসিডেন্সি কলেজের ক্যাম্পাস হচ্ছে। সেখানেও নানা নতুন কোর্স পড়ানো হবে।

•শিলিগুড়ি শহরের দার্জিলিং মোড় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড়। দার্জিলিং, সিকিমের পর্যটকরা অনেকেই এলাকাটি ছুঁয়ে যান। কিন্তু সারাদিন মোড়টির যা পরিস্থিতি থাকে, তাতে কারও সুখকর অভিজ্ঞতা হয় না। এটি নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তা?

বিশ্বরূপ দত্ত, কলেজ শিক্ষক

মন্ত্রী: কেন্দ্রের সঙ্গে পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা কথা বলছেন। ওখানে একটা রেলের ওভারব্রিজও রয়েছে। আমরা ঘোষপুকুর থেকে শালুগাড়়া অবধি চার লেনের রাস্তার পরিকল্পনা নিয়েছি। তার কিছুটা এশিয়ান-২ প্রকল্পের মধ্যে চলে আসবে। দার্জিলিং মোড়, ভক্তিনগর থানার মতো এলাকায় উড়ালপুল হবে। তবে এর জন্য কিছু জমি সরকারের প্রয়োজন। আলোচনা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টি জানেন। উত্তরবঙ্গের মন্ত্রীদের কমিটি রয়েছে। সেখানেও আলোচনা করব।

•মালবাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসেন। তাঁদের জন্য কী কোনও হস্টেল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছ?

তপতী দাস, মালবাজারের কলেজ ছাত্রী

মন্ত্রী: মালবাজারে হস্টেল করাই যেতে পারে। তবে তার আগে দেখতে হবে, সেখানে হস্টেল কতটা দরকার। হাসিমারায় কর্মরত মহিলাদের জন্য হস্টেল করা হয়েছে। ফাঁসিদেওয়াতেও ছাত্রছাত্রীদের হস্টেল হচ্ছে। মালবাজার নিয়ে নিশ্চয়ই ভাবা হবে।

• এখন তো বিদেশ, এমনকী দেশেও অনেক জায়গায় কৃষি বা খামারভিত্তিক পর্যটন শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গেও এর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমরা কী এমন কিছু ভাবতে পারি না?

পূজা মাইয়া, কলেজ ছাত্রী

মন্ত্রী: কৃষি পর্যটনের কথা আমরা ভাবতে শুরু করেছি। উত্তরবঙ্গে কৃষি জমির অভাব নেই। যে সব এলাকায় অব্যবহৃত বা অতিরিক্ত কৃষি জমি রয়েছে, সেখানে ‘গ্রিন জোন’ পর্যটন প্রকল্প হবে বলে ভাবা হয়েছে। ডুয়ার্সের কিছু জায়গায় আমরা কাজ শুরুও করেছি। এখানে হোম স্টে করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। হোম স্টে-র পাশেই খেতে জৈব চাষে শাক-সব্জি ফলানো হচ্ছে। পোলট্রি ফার্ম করতেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। সেগুলিই আসছে পর্যটকের প্লেটে। তবে হ্যাঁ, ওই এলাকায় প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতে ওই হোম স্টে-গুলোর লিঙ্ক ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ এবং রাজ্য পর্যটনের সাইটেও দেওয়া হবে।

•দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা হিসেবে বলছি, নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র আমাদের গর্বের। কিন্তু এখনও সেই কেন্দ্রে নাটক শুরু হল না। আমাদের জেলার হিলি-তে পঞ্জাবের ওয়াঘা সীমান্তের মতো পর্যটন কেন্দ্র গড়া যেতে পারে।

প্রবীরকুমার কুণ্ডু, কলেজ শিক্ষক

মন্ত্রী: দক্ষিণ দিনাজপুর প্রান্তিক জেলা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই জেলার পরিকাঠামো উন্নতিতে আগ্রহী। তাই সেখানে নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র রয়েছে। তবে কেন্দ্রে ঢোকার রাস্তায় কিছু সমস্যা আছে। সেগুলি দ্রুত মেটানো হবে। ওখানে আর্ন্তজাতিকস্তরের নাট্যগ্রাম বা ‘ড্রামা ভিলেজ’ও তৈরি হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। দুই বাংলার সংস্কৃতি চর্চা বিনিময় কেন্দ্র হয়ে উঠবে ওই জেলা। পর্যটনের পরিকল্পনাতেও জেলাকে রাখা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী থাকাকালীন কয়েকটি জলাশয়ের পাশে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু স্থায়ী কয়েকজন জনপ্রতিনিধি রাজি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। সবই আমাদের ভাবনাচিন্তায় রয়েছে।

•দক্ষিণ দিনাজপুরের মহীপালে বড় দিঘি, তার পাড়ে গাছগাছালি আছে। আমাদের জেলায় বনাঞ্চল নেই, কিন্তু দিঘির পাড়ে সবুজ ঘেরা পরিবেশে পর্যটন কেন্দ্র কি পেতে পারি না? মহিষবাথানের মুখোশ শিল্পও কি পর্যটন মানচিত্রে ঢুকতে পারে না?

চিন্ময় সরকার, কলেজ শিক্ষক

মন্ত্রী: দক্ষিণ দিনাজপুরের জলাশয়গুলিকে সংস্কার-সংরক্ষণ করে পর্যটন সার্কিটে ঢোকানো হবে। জেলার যে যেখানে যেমনই পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে, সবই আমরা প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করছি।

•কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে অনেক পুরোনো বাড়ি, ভবন রয়েছে। সেগুলি সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়ে পর্যটকদের আকর্ষণ করা যায় না? কোচবিহারে রেলের এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েরও সংগ্রহশালা রয়েছে। অন্য সংগ্রহশালাগুলিকে এর সঙ্গে যোগ করা যায় না?

অরূপজ্যোতি মজুমদার, সম্পাদক, কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটি

মন্ত্রী: আমার তো মনে হয় উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে পরিকল্পিত শহর হল কোচবিহার। তাকে এর মধ্যেই পর্যটন মানচিত্রে আনার কাজ শুরু হয়েছে। যেমন, মদনমোহন মন্দিরের সামনে এলইডি আলো লাগানো হয়েছে। সাগরদিঘিতে লাইন্ড অ্যান্ড সাউন্ড ফোয়ারায় রাজ আমলের গল্প শোনানোর পরিকল্পনা হয়েছে। অমিতাভ বচ্চনের গলায় সেই বৃত্তান্ত রেকর্ড করে পর্যটকদের শোনানো হবে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিঙের নানা হেরিটেজ স্থান বা ভবনগুলি নিয়েও প্রচার চালানো হবে। রাসমেলার সময় কোচবিহারে লাখখানেক মানুষ বাইরে থেকে আসেন। এঁরা সকলেই সম্ভাবনাময় পর্যটক। মেলার সময় যাতে তাঁরা এখানেই থাকেন, ঘুরে দেখেন, সে ব্যাপারে তাঁদের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। কোচবিহারের হেরিটেজ ও আকর্ষণীয় জায়গাগুলির তালিকা করে আমাকে দিন, সেই মতো প্রস্তাব নেব।

• দিনহাটায় একটিও স্টেডিয়াম নেই। কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শুনলে চমকে যাবেন। প্রথম বর্ষে অনন্ত ৬ হাজার পড়ুয়া। একটি বিষয়ে পরীক্ষা নিতেই দু’তিন দিন লেগে যায়। পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নেই।

বিভুরঞ্জন সাহা, দিনহাটা

মন্ত্রী: শুধু স্টেডিয়াম তৈরি করে দিলেই খেলার উন্নতি হয় না। বছরে একবার ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের একটা বড় ম্যাচ খেলিয়ে জেলার খেলার মান বাড়ে না। তার জন্য খেলোয়াড়দের নিয়মিত মাঠে আনতে হবে। প্রতিটা মহকুমায় স্টেডিয়াম তৈরি করার আগে কোচবিহারের স্টেডিয়ামটিকে ভাল করে তৈরি করা উচিত। আপনাদের জেলার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এখন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। দিনহাটায় স্টেডিয়াম তৈরি হবে কি না তা উনি বলতে পারবেন। তবে আমার প্রস্তাব, জেলাস্তরে নিয়মিত খেলার আয়োজন চালিয়ে যেতে হবে। কলেজের প্রসঙ্গে বলি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী থাকার সময়ে দফতর থেকে ১৭টি কলেজ তৈরি করাতে পেরেছি। নিশ্চয়ই আরও কলেজ তৈরি হবে। তবে প্রথমেই যেটা করা প্রয়োজন, তা হল বাড়তি পড়ুয়ার সংখ্যা সামাল দিতে সকাল, দুপুর এবং বিকেল তিন বিভাগে পঠনপাঠন চালু করা।

•উত্তরবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র জয়ন্তীর সংস্কার প্রয়োজন। পুখুরি পাহাড়ের জলাশয়ের রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথ হচ্ছে না। বন দফতরের সঙ্গে পর্যটন দফতরের সমন্বয় তৈরি করাও দরকার। বক্সাপাহাড় ও সান্তালাবাড়ির মধ্যে রোপওয়ে চালালে ভাল হয়। তবে নানা জায়গায় বন দফতরের বিধিনিষেধ রয়েছে। জঙ্গল-পরিবেশের ক্ষতি হল না, কিন্তু পর্যটকরাও ঘন সবুজে ঘেরা পরিবেশের আনন্দ নিতে পারলেন, এমন উদ্যোগ কি নেওয়া যায় না?

ল্যারি বসু, আলিপুরদুয়ার

মন্ত্রী: বক্সায় রোপওয়ে চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু বন দফতর ছাড়পত্র দিচ্ছে না। বন এবং পর্যটনের সমন্বয় বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন। দুই দফতরের সমন্বয় থাকলে অনেক বাধা-নিষেধ কাটিয়ে ওঠা যায়। সমন্বয় কমিটি তৈরি হয়েছে, কলকাতায় বৈঠকও হয়েছে। তা ছাড়া যে এলাকাগুলির কথা বলছেন, সেগুলি সবই আমি দেখেছি। সব জায়গাগুলি নিয়েই কাজ চলছে।

•জয়ন্তী নদী ঘেঁষে নদী বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক জন ব্যক্তি ক্ষুদ্র স্বার্থে বাঁধ তৈরি আটকে দিয়েছে। বাঁধ তৈরি না হলে ভবিষ্যতে জয়ন্তীকে বাঁচানো যাবে না। পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে আপনার কি কিছু করণীয় রয়েছে?

পার্থসারথী বসু, ট্যুর অপারেটর

মন্ত্রী: আমি নিজে গিয়ে এলাকাটি দেখব। পরিকাঠামোর উন্নতিতে কারও কোনও ক্ষুদ্র স্বার্থ বাধা হতে পারে না।

•আমরা সংস্কৃতিপ্রেমীরা পর্যটন মন্ত্রীর থেকে কী আশা করতে পারি? উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর তো নানা সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান করত। আপনি না থাকায় কি সমস্যা হবে? শিলিগুড়ির জনসংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু খোলামেলা পরিবেশে বিনোদনের জায়গা বাড়েনি। শিলিগুড়িতে কোনও ইকো পার্ক তৈরির কথা কেন ভাবা হবে না।

সংযুক্তা দেব, শিলিগুড়ি

মন্ত্রী: আমি মনে করি সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল সংস্কৃতি। এটা আমার খুব আবেগের জায়গা। তাই উত্তরবঙ্গ উৎসব চালু করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সংস্কৃতিমনস্ক। বেশি করে খেলা, উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের পক্ষপাতি। এটাই আমাদের সরকারের বিশেষত্ব। এক জন মন্ত্রী বদলালে সেই দৃষ্টিভঙ্গি হয়ত কিছুটা বদলাতে পারে, কিন্তু উৎসব বন্ধ হবে না। দ্বিতীয়, প্রশ্নের উত্তরে বলতে পারি, শিলিগুড়ির কাছেই সাফারি পার্ক তৈরি হয়েছে। শহরের মধ্যেও একটি ইকো পার্ক করা যেতে পারে। একটি বেসরকারি সংস্থা বাইপাস লাগোয়া এলাকায় এমন পার্ক করার প্রস্তাব দিয়েছিল। সেটি আগে বামেরা করাতে পারেনি। আমরা ইকো পার্ক গড়ার চেষ্টা করছি।

(চলবে)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Goutam Dev Westbengal tourism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE