শ্রম দফতরের উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম কমিশনারের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলল কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। রবিবার দুপুরে শিলিগুড়িতে সংগঠনের রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি অলোক চক্রবর্তী ওই দাবি করেছেন। অলোকবাবুর অভিযোগ, ‘‘আগামী মাসে রাজ্যের চা শিল্পের উত্তরবঙ্গের বটলিফ কারখানার শ্রমিক-কর্মীদের জন্য আলাদা ভাবে নূন্যতম মজুরি চুক্তি ঘোষণা করার কথা। এর আগে যুগ্ম শ্রম কমিশনার সমীর বসু মালিকপক্ষ এবং কয়েকটি সংগঠনগুলিকে নিয়ে দ্বিপাক্ষিক স্তরে মজুরি চুক্তির বৈঠক করছেন। এতে নূন্যতম মজুরি ঘোষণা হলে মালিকপক্ষের আদালতে যাওয়ার রাস্তা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।’’ ওই কংগ্রেস নেতা জানান, এক বার মজুরি চুক্তি হলে তা তিন বছর কার্যকর থাকে। নূন্যতম মজুরির ঘোষণার আগে চুক্তি হয়ে যাওয়া মানে তো মালিকপক্ষকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া।
অলোকবাবুর কথায়, ‘‘শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক থেকে রাজ্যের সহকারী শ্রম কমিশনারকে (প্ল্যান্টেশন) বিষয়টি জানিয়ে তদন্তের দাবি করেছি। এখানকার শ্রম কমিশনার তো শ্রমিক বিরোধী কাজ করছেন। আমাদের তো বৈঠকে ডাকাই হচ্ছে। সরকারি দফতরের বদলে মালিকপক্ষকের দফতরে দফতরে বৈঠক হচ্ছে।’’ অভিযোগ প্রসঙ্গে যুগ্ম শ্রম কমিশনার সমীরবাবুর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ‘‘আমি এসব নিয়ে কিছু বলব না। অনেকে অনেক কিছু বলতেই পারেন। সরকারি আইন মেনেই আমি কাজ করছি।’’
উত্তরবঙ্গের ৮০টি-র মত বটলিফ কারাখানা হয়েছে। এরমধ্যে দার্জিলিং জেলায় রয়েছে ২৪টি-র মত। কম করে ৫ হাজার শ্রমিক ও কর্মী কারখানাগুলিতে কাজ করেন। তবে সাধারণ চা বাগানের মত সুবিধা বটলিফের কর্মীরা পাননি। রোজকার হাজিরা শ্রমিক ছাড়াও চার ধরণের কর্মী সাধারণত বাগানগুলিতে থাকেন। শ্রমিকেরা ১৩২ টাকা হাজির পানন। অন্য কর্মীরা ৯০০০-৪০০০ মধ্যে মাস বেতন পান। তবে এমনি চা বাগানের মত তাঁরা রেশন, চিকিৎসা সুবিধা, আবাসন-সহ নানা সুবিধা পান না। খুব দ্রুত সকলের জন্যই রাজ্য সরকারের তরফে নূন্যতম মজুরি চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
আইএনটিইউসি নেতাদের দাবি, দুই দফায় বৈঠক হয়ে গিয়েছে। শেষবার ২৯ জুলাই মাটিগাড়ায় মালিকপক্ষের সংগঠনের দফতরে বৈঠক হয়। শাসক দল ছাড়াও বামেদের ডাকা হলেও আইএনটিউসিকে ডাকা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy