সওয়ারি: আলিপুরদুয়ারে কৈলাস বিজয়বর্গীয়। নিজস্ব চিত্র
প্রশাসনিক সভামঞ্চকে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় মঞ্চে পরিণত করছেন বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিলেন তিনি। শনিবার সকালে কোচবিহারের সাংবাদিক বৈঠক করে ওই হুঁশিয়ারি দেন বিজয়বর্গীয়।
তিনি বলেন, “আমি নিজে টেলিভিশনে দেখেছি তিনি প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করছেন। প্রশাসনিক আধিকারিকদের দলীয় শাসন কায়েমের জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। গণতন্ত্রে এটা চলতে পারে না। এর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানানো হবে।” পাশাপাশি তিনি সন্ত্রাস নিয়েও এদিন সরব হন। গোটা উত্তরবঙ্গ থেকে পঞ্চাশ হাজার কর্মী-সমর্থকদের কোচবিহারে জমায়েত করে পুলিশ ও প্রশাসনের জেলা অফিস ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেন। তিনি বলেন, “দিনহাটায় বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও করে রাখা হবে।”
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “বিজেপির যে কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আছেন তাঁরাও দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তাতেই উল্টোপাল্টা কথা বলছেন তিনি।”
এ দিন আলিপুরদুয়ারে গিয়ে লাল ডাইরিতে তৃণমূল কর্মী ও নেতাদের নাম লিখে রাখার নিদান দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের চোখোয়াক্ষেতি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কোথাও মোটরবাইকে চেপে গ্রামে ঘোরেন। সব জায়গায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলের অত্যাচারের অভিযোগ করেন নেতার কাছে।
দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করে তিনি বলেন, “যে সমস্ত তৃণমূল নেতা কর্মীরা বিজেপি কর্মী ও সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে, মিথ্যে মামলা দিচ্ছে তাদের নাম একটি লাল ডায়রিতে লিখে রাখুন। পঞ্চায়েত ভোটের পর আমরা বিষয়গুলি দেখব।”এ দিন আট মাইল এলাকায় বুথ সভাপতি হীরেন রায়ের বাড়িতে ১১/৫০ বুথের কর্মীদের নিয়ে সভা করেন তিনি।
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন,‘‘কত কর্মী বিজেপি ছাড়ছে তা ডায়রিতে লিখে রাখুন ওঁরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy