Advertisement
E-Paper

মোদী-মাঠের সন্ধান শুরু

দলীয় সূত্রের খবর, আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে মোদীর সভাস্থল চূড়ান্ত করার জন্য রাজ্য নেতৃত্ব জেলা নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

কৌশিক চৌধুরী 

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০৫:৪৫
অভ্যর্থনা: দার্জিলিং কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে পেয়ে উল্লাস সমর্থকদের। বাগডোগরা বিমানবন্দরে। সোমবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

অভ্যর্থনা: দার্জিলিং কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে পেয়ে উল্লাস সমর্থকদের। বাগডোগরা বিমানবন্দরে। সোমবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩ এপ্রিল শিলিগুড়িতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাতে যদিও ৯ দিন আছে, তবু দ্রুত সভার মাঠ ঠিক করে ফেলতে চাইছেন শিলিগুড়ির বিজেপি নেতৃত্ব।

দলীয় সূত্রের খবর, আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে মোদীর সভাস্থল চূড়ান্ত করার জন্য রাজ্য নেতৃত্ব জেলা নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো রাতেই জেলা বিজেপি নেতারা আলোচনা করে মাঠ বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে‌ছেন। প্রথম পছন্দের মাঠ হিসেবে উঠে এসেছে মাটিগাড়ার কাওয়াখালি। সেখানকার সিআরপিএফের উত্তরবঙ্গের সদর দফতরের পাশে কয়েক একরের বিরাট খালি মাঠ রয়েছে। রাজ্য সরকারের মালিকালাধীন জমিটি এসজেডিএ-র নিয়ন্ত্রণে ছিল। গত বছর জমিটিতে নতুন উপনগরী করার জন্য একটি শিল্পগোষ্ঠীকে তা দেওয়া হয়েছে। এর পাশে সিআরপিএফের জমিও রয়েছে।

দলের জেলা কমিটির কয়েক জন নেতা জানান, কাওয়াখালির মাঠটির পাশেই সিআরপিএফের সদর দফতর। সেখানে হেলিপ্যাডও রয়েছে। ওই মাঠ ব্যবহার করতে পারলে প্রধানমন্ত্রীকে বাগডোগরা থেকে সভাস্থলে আনতে আলাদা করে হেলিপ্যাড তৈরি করারও দরকার নেই। সিআরপিএফের হেলিপ্যাডেই তাঁর কপ্টার নামতে পারবে। আবার সোজ বাগডোগরা বিমানবন্দর পৌঁছে কলকাতা যেতে সময়ও কম লাগবে। এর বাইরে, মাটিগাড়া ব্লকেরই পাথরঘাটায় বাস্তুবিহার এলাকাতেও আর একটি ব্যক্তিগত মালিকালাধীন বিশাল খালি জমি রয়েছে। সেখানে ২০১৪ সালে জনসভা করেছিলেন মোদী। ২০১৬ সালে বাগডোগরার উত্তরা উপনগরীর মাঠে প্রচার সভা করেন মোদী।

বিজেপি’র উত্তরবঙ্গ জ়োনের আহ্বায়ক রথীন্দ্র বসু বলেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য কাওয়াখালি-সহ আরও কয়েকটি মাঠ দেখছি। দ্রুত সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন রাত অবধি কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কোনও এজেন্সি এবং পুলিশ-প্রশাসনের কাছে সরকারি ভাবে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি সম্পর্কিত কোনও নির্দেশ দিল্লি থেকে এসে পৌঁছয়নি। কমিশনারেটের এক ডেপুটি কমিশনার বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি-র সভায় নথিপত্র, নির্দেশে সাধারণত সভার দিন ৩/৪ দিন আগে আসে।’’

বিজেপির নেতারা জানাচ্ছেন, মঞ্চে একাধিক প্রার্থী থাকার সম্ভাবনা। কাওয়াখালির মাঠের পাশে এশিয়ান হাইওয়ের থাকায় সব জেলা থেকেই দলের লোকদের আসতে সুবিধা হবে। জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘যোগাযোগ, এলাকা থেকেই সভাস্থল ঠিক করা হচ্ছে।’’ দলের অন্দরের খবর, কাওয়াখালি, খাপরাইল এবং ইন্দিরা গাঁধী ময়দানের মতো একাধিক মাঠের সন্ধান শুরু। সরকারি বদলে বেসরকারি জমিই পছন্দ নেতাদের।

Lok Sabha Election 2019 BJP Narendra Modi Meeting
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy